নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১১-১২ মওশুমে প্রথম বিভাগের দল ওল্ড ডিওএইচ কিনে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক খালেদ মেহমুদ সুজনের হাত ধরেই। প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন থেকে ক্রিকেট ক্লাব পরিচালনা করে পরবর্তীতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে রূপান্তরিত এই দলটি প্রথম বিভাগ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে উঠেছে মোটা অংকের বেতনে নিয়োগ দেয়া সুজনের কোচিংয়েই। সর্বশেষ তিন মওশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এই দলটি একবার রানার্স আপও হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসরে দলটির শুরু থেকে অংশগ্রহণ, ২০১৪-১৫ ক্রিকেট মওশুমে শিরোপার নেপথ্যেও খালেদ মেহমুদ সুজনের প্রশিক্ষণ। ২০১৪ সালে বিজয় দিবস টি-২০ তে দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাতেও সেখানে শিরোপার নেপথ্যে খালেদ মেহমুদ সুজন। আসন্ন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সুজনকে কেন্দ্র করেই দল গঠন এবং দারুন কিছুর স্বপ্ন দেখছিল এই ব্যাংক ক্লাবটি। তবে ক্রিকেটারদের দল-বদলকে সামনে রেখে এই কোচ করেছেন দল-বদল। বিসিবি’র এই পরিচালক প্রাইম ব্যাংক ছেড়ে দিয়ে আবাহনীর কোচ হিসেবে দিয়েছেন যোগ। প্লেয়ার্স ড্রাফট টেবিলে বসার কথা ছিল যে থিংক ট্যাংকের, প্রতিপক্ষ শিবিরে তাকে দেখে বিলাপ করেছেন দলটির সেক্রেটারী এবং বিসিবি পরিচালক তানজিল চৌধুরীÑ‘সুজন ভাই আমাদের সাথে নেই, এটা দুর্ভাগ্যজনক। সত্যি বলতে কি, আমরা তাকে মিস করব। এভাবেই জীবন এগিয়ে যায়।’ তবে সুজনের সকল চাহিদা মেটানোর পরও প্রাইম ব্যাংক ছেড়ে চলে যাওয়ার কারন মিডিয়াকে রেখেছেন গোপন তানজিল চৌধুরীÑ‘নো কমেন্টস।’
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলটি আইকন ক্যাটাগরি থেকে সাব্বির রহমান রুম্মানকে পেয়ে, প্লেয়ার্স ড্রাফটে তারুণ্য নির্ভর দল গড়ে অবশ্য স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেনÑ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা একটা তারুন্য নির্ভর দল বানাতে পেরেছি। এতেই আমরা সন্তুষ্ট।’
খেলোয়াড়দের সম্মানীর লাগাম টেনে ধরার পদ্ধতি প্লেয়ার্স বাই চয়েজ সমর্থন করেনি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব শুরু থেকেই। তবে এ ব্যাপারে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের ভুমিকাকে রহস্যজনক উল্লেখ করেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সেক্রেটারি তানজিল চৌধুরীÑ ‘ঢাকার প্রিমিয়ার লিগে যে দলগুলো আছে, তার মধ্যে প্রাইম ব্যাংকই এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে ছিল। দুর্ভাগ্যজনক, অন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। আমাদের যে প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন আছে, তারা কিন্তু এ ব্যাপারে কথা বলতে পারতো। আমার মনে হয়, এ জায়গায় তারা পিছিয়ে ছিলেন। অনেক সিনিয়র এবং তরুণ ক্রিকেটাররা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, এটা তারা একদমই পছন্দ করছেন না। এটা তাদের কল্যাণের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের অ্যাসোসিয়েশন নীরব ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।