নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : সর্বশেষ ক্রিকেট মওশুমে সাকিব, তামীম, মুশফিকুরÑএই তিনজনের কেউ অর্ধ কোটি টাকার নীচে বিক্রি হননি। মাশরাফি, মাহামুদুল্লাহদের সম্মানীর অংক ছিল সেখানে ৪০ লাখের কাছাকাছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরমেন্সে এবার যেখানে আইকন ক্রিকেটারদের কারো কারো দর ৬০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা, মিডিওকার ক্রিকেটাররা যেখানে ২৫-৩০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেছেন, সেখানে ক্রিকেটারদের সম্মানীর লাগাম টেনে ধরতে ১ আসর পর প্লেয়ার্স বাই চয়েজ প্রথা ফিরিয়ে এনেছে সিসিডিএম! উন্মুক্ত দল-বদলের পরিবর্তে ক্রিকেটাররা ঠিকানা পেয়েছেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে, লটারি ভাগ্যে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি নিজেও এই পদ্ধতি সমর্থন বরছেন নাÑ‘এটা কোন আদর্শ পদ্ধতি হতে পারে না। এবার অবশ্য এই পদ্ধতিতে দলবদলের পেছনে একটা যুক্তি আছে।’ তারপরও ক্রিকেটারদের এই পদ্ধতিতে দল-বদল এবং চুক্তির আওতায় ক্রিকেটারদের আনতে পেরে খুশি বিসিবি সভাপতিÑ‘ নির্দিষ্টভাবে কোন দলকেই ভালো বলা যাবে না। সবাই সুযোগ পেয়েছে ভালো দল গঠন করতে। সব ভালো খেলোয়ার নির্দিষ্ট কোন দলে না গিয়ে ছড়ি ছিটিয়ে বিভিন্ন ক্লাবে গেছেন। এতে আমি খুশি। বোর্ড থেকে আমারা প্লেয়ার বাই চয়েজ করেছি, খেলোয়ারদের পারিশ্রমিকের কথা বিবেচনা করে চুক্তি করেছি। এরপর যদি আমার প্লেয়ার বাই চয়েজ নাও করি তারপরও কিন্তু খেলোয়াররাই চাইবে ক্লাবের সাথে তাদের যেন চুক্তি হয়। এছাড়া ট্যাক্সের যে ব্যাপারগুলো আছে সরকার যাতে ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত না হয় সেগুলো চিন্তা করা হয়েছে।’
আবাহনীর প্লেয়ার্স ড্রাফট টেবিলে ছয়জন বোর্ড পরিচালক থাকায় প্রভাবমুক্ত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ নিয়ে শংকার আলামত অবশ্য পাচ্ছেন না তিনিÑ ‘জালাল ইউনুস, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, আকরাম খান, এরা আগে থেকেই আবাহনীর সাথে ছিলো। এখন যে তারা আবাহনী থেকে এসেছে তা কিন্তু নয়। অন্য টেবিলেও বসতে পারত। এখন যদি সবাই জালাল ভাইয়ের সাথে এসে বসতে চায় তহালে সমস্যা কি। শেখ সোহেল এসে আবাহনীর টেবিলে বসেছে। তার তো কোন ক্লাব নেই। এটার সাথে লটারীর কোন সম্পর্ক নেই। এটা যদি অভিযোগ হয় তাহলে কিন্তু রেজাল্ট সেরকম হওয়া কথা। আবাহনী মোহামেডান, শেখ জামার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা। কিন্তু গত দুই তিন বছরে তা হয়নি।’
প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের আসন্ন আসরে খেলোয়াড়দের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে মনিটরিং হবে বলে জানিয়েছেন তিনিÑ‘ খেলোয়াড়দের বোলিং অ্যকশন নিয়ে মনিটংরি থাকবে। আমরা বোলিং রিভিউ করা হবে। প্রত্যেকাট ম্যাচের বোলিং দেখে আমরা অ্যাকশন নিয়ে কোন সমস্যা আছে কিনা তা দেখা হবে। ম্যাচ রেফারি রিপোর্টে আসবে।’ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সর্বশেষ ২ আসরে খেলেনি পাকিস্তানের কোন ক্রিকেটার। বিসিবি-পিসিবি’র দ্ব›দ্ব নিরসনে বিপিএল’র সর্বশেষ আসরে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা করেছে পারফর্ম। আসন্ন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগেও পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের খেলতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিÑ‘ পাকিস্তানের ক্রিকেটারা লিগে খেলতে পারবে। কোন সমস্যা নেই। তারা এর আগে বিপিএলে খেলছে। তারা যদি ফ্রি থাকে এবং আমাদের ক্লাবগুলো যদি নিতে চায় তাহলে আসবে বোর্ড থেকে কোন বাধা নিষেধ নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।