পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমলাপুর স্টেশনে মানুষ আর মানুষ। টিকিটের জন্য লাইন দীর্ঘ হতে হতে রাস্তা থেকে ঘুরে আবার স্টেশনের দিকে গেছে। দেখে বোঝার উপায় নেই কোন লাইন কোন দিকে গেছে। আবার এক লাইন গিয়ে মিশে গেছে আরেক লাইনে। শুধু লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলোই বুঝবেন কোনটা কোন লাইন। সোমবার রাত ৯টার দিকে দেখা গেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনের জায়গায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পরের দিন সকাল ৮টায় কাউন্টার খুলবে। তার আগেই স্টেশনে এ ভিড় আগে কখনও দেখা যায়নি বলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান। বিশেষ করে পরের দিনের টিকিটের জন্য মহিলাদের এতো দীর্ঘ লাইন আগে কখনও দেখা যায়নি।
স্টেশনে কর্মরত একজন কর্মকর্তা বলেন, ১ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী মানুষের যে ভিড় ছিল গতকাল মঙ্গলবার ছিল তার ৫ গুণেরও বেশি। আগের দিন রাত থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। তবে কাউন্টার খোলার পর টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগও ছিল বিস্তর। অনেকেই বলেছেন, সামনের সারিতে থেকেও এসির টিকিট পাননি। কেউ বলেছেন, দুটো এসির টিকিট চেয়েছেন। পেয়েছেন একটা এসি, একটা ননএসি। আবার কেউ কেউ চারটি চেয়ে দুটি পেয়েছেন। টিকিট পাওয়া নিয়ে গতকাল অভিযোগ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু কে শোনে কার কথা? কমলাপুরে এসব অভিযোগ শোনার মতো কেউ নেই। এমনকি রেলভবন থেকেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। একজন ভুক্তভোগি বলেন, ঈদ এলেই রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কানে তুলা দিয়ে রাখেন।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করার মতো অবস্থা নেই। চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। মানুষের ভিড়ে স্টেশনে প্রবেশের মূল গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র যাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য প্রথম শ্রেণির গেটটি খোলা রাখা হয়েছে।
এদিকে, এতোকিছুর মধ্যেই কালোবাজারে চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি সংঘবদ্ধচক্র দ্বিগুণ বা তারও বেশিদামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছে। মতিঝিলে কর্মরত এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামের এসি চেয়ারের দুটো টিকিট তিনি তিন হাজার টাকায় কিনেছেন। অথচ ওই দুটো টিকিটের দাম ১৫শ’ টাকা। অসাধু রেল কর্মচারিদের সাথে কালোবাজারিদের যোগসাজশ আছে। তারাই এসব টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করছে। তবে প্রকাশ্যে কেউ টিকিট বিক্রি করতে পারছে না র্যাবের ভয়ে। প্রতিদিনই র্যাবের হাতে আটক হচ্ছে দুএকজন কালোবাজারি। তারপরেও তা থামছে না।
আজ অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন। আজ দেয়া হবে ১৫ জুনের টিকিট। শেষ দিনের টিকিট পেতে গতকাল রাতেও হাজার হাজার মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। রেল সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে কোনো আসনবিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।
ঈদে রেলেওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিশেষ ট্রেন
রাজশাহী ব্যুরো : ঈদে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো আর যানজট ও ভাঙাচোরা রাস্তার ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের কাছে বাসের চেয়ে ট্রেনের যাত্রা পছন্দের। ঈদে চাপ বাড়বে কয়েকগুণ। এ সময় একটা টিকেট যেন সোনার হরিণ! যাত্রীদের বিড়ম্বনার কথা ভেবে তাদের সুবিধার্থে এবারো বাংলাদেশ রেলেওয়ে পশ্চিমাঞ্চল বর্তমানে চলমান রেলের পাশপাশি বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। পশ্চিম রেলের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক এসএম সেলিম উদ্দিন জানান, স্পেশাল ট্রেন আগামী ১৩ জুন হতে ঈদের পূর্বদিন এবং ঈদ পরবর্তী ১৮ হতে ২৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। বর্তমান আন্তঃনগর ট্রেনের অফডে বাতিল করা হয়েছে। রেল পশ্চিম জোনের স্পেশাল ট্রেনগুলো হলো “রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী স্পেশাল” দুপুর দেড়টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকা থেকে ফিরবে রাত সাড়ে নয়টার সময়। “পাবর্তীপুর-ঢাকা-পাবর্তীপুর স্পেশাল” দুপুর সোয়া একটায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত দশটায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসবে দশটা পঞ্চাশ মিনিটে। “খুলনা-ঢাকা-খুলনা স্পেশাল” ট্রেনটি রাত বারোটায় ছেড়ে যাবে। ঢাকা হতে ছেড়ে আসবে রাত এগারোটায়। খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেনটি তিনদিন চলাচল করবে। “লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট স্পেশাল” লালমনিরহাট ছেড়ে যাবে সাড়ে নয়টায়্ এছাড়া রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি, পদ্মা, ধূমকেতু যথারীতি চলাচল করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।