মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : এ বছরই পৃথিবীর আকাশে দুটি সূর্যের দেখা মিলবে। তবে মহাজাগতিক ক্ষণ দেখাটা সৌভাগ্যের হবে না আমাদের। রাশিয়ার কিছু মাধ্যম বলছে, পৃথিবী লক্ষ্য করে ধেয়ে আসায় আকাশে সূর্যের মতোই জ্বলজ্বলে আরেকটি অগ্নি-গোলক দেখা যাবে। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, আকাশে দুটি সূর্যের একটি আসলে বিশাল গ্রহ, যা ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। আমাদের একমাত্র গ্রহটিকে খুব কাছ থেকে অতিক্রমের সময় বিরল এই দৃশ্য দেখা যাবে। আর তারপরই শেষ হবে সবকিছু। গ্রহটি খুব কাছ দিয়ে পরিক্রমণের ফলে পৃথিবী নিজ অক্ষ থেকে সরে যাবে। ফলে প্রকৃতিতে ঘটবে ছন্দপতন। দেখা দেবে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, অগ্নৎপাত। শেষ হবে আমাদের এই সভ্যতা। সেই সাথে আমরাও।
সুমেরীয় সভ্যতায় বর্ণিত সেই রহস্যময় গ্রহের নাম নিবিরু। যা বর্তমানে পরিচিত প্ল্যানেট এক্স নামে। রাশিয়ার বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পৃথিবীকে সত্যিই তা অতিক্রম করতে যাচ্ছে। আর সেটি এ বছরই। আরো ভয়ানক তথ্য হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটতে চলেছে এ মাসেই। সুমেরীয়সহ বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় বলা আছে, নিবিরু আমাদের সৌরজগতের ১২তম গ্রহ। তবে এর কক্ষপথ ভিন্ন এবং বিশাল।
উল্লেখ আছে, সূর্যকে কেন্দ্র করে কক্ষপথ ঘুরে পৃথিবীর কাছে আসতে ৩ হাজার ৫০০ বছর নেবে নিবিরু। পরিক্রমণের সময় এটি পৃথিবীর কক্ষপথের ভেতর চলে আসবে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, নিবিরু খুব কাছে আসায় প্রাকৃতিতে দুর্যোগ দেখা দেবে। গ্রহটির প্রবল আকর্ষণে পৃথিবী ঘুরে যাবে। উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বিপরীত অবস্থানে চলে আসবে। ল-ভ- হয়ে যাবে পৃথিবীর তিলে তিলে গড়ে তোলা সভ্যতা। মায়া সভ্যতায় পর্যন্ত এই ক্ষণটির উল্লেখ আছে। তবে তাদের প্রাচীন ক্যালেন্ডারে সেই সময়টি ছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বর। ক্যালেন্ডারে ২১ ডিসেম্বরের পর আর তারিখ গণনা হয়নি।
এদিকে, রাশিয়ার গণমাধ্যম বলছে, নিবিরু’র অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও ইসা কিংবা নাসার মত সংস্থাগুলো ঠিকই গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণেই রেখেছে। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রহটি সম্পর্কে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়, যা বোস্টন গ্লোবসহ অন্য পত্রিকাগুলোতেও গুরুত্ব সহকারে স্থান পায়। নাসা প্রকাশ না করলেও রাশিয়ার খবর, রহস্যময় গ্রহটির অস্তিত্ব ইন্ফ্রারেড স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। আপন কক্ষপথে দূর থেকে আসা গ্রহটির গতিপথ ছয় মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছেন গবেষকেরা। তাতে একচুল পরিবর্তন দেখা যায়নি। অর্থাৎ সোজা পৃথিবীর দিকেই ধেয়ে আসছে নিবিরু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আশঙ্কা সত্যি হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। এসময় একই সঙ্গে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যাবে। দেখা যাবে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে। রাশিয়ার প্রতিবেদন, প্রাচীন সুমেরীয় কিংবা মায়া সভ্যতায় যার অস্তিত্ব বর্ণনা করা হয়েছে গবেষকেরা আজ তার সত্যতা পাচ্ছেন। বলা হয়, পবিত্র বাইবেলেও পৃথিবীর এই ক্ষণটির উল্লেখ আছে। যেখানে বিপর্যয়ের দিনে আকাশে দুটি সূর্য্য দেখতে পাওয়ার বর্ণনা রয়েছে। মায়া ক্যালেন্ডারে সভ্যতা ধ্বংসের যে হিসেব রয়েছে, গবেষকেরা এখন দেখছেন দীর্ঘ গণনায় তার সময়ে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিটা সৃষ্টিরই ধ্বংস আছে। তবে পৃথিবীর বিষয়ে গবেষকদের বিশ্বাস গ্রহটি টিকবে আরো বহুদিন। অবশ্য পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা এর আগেও বহুবার করা হয়েছে। আবার মিথ্যেও প্রমাণিত হয়েছে। বরাবরের মতো এটিও মিথ্যে গুজব কিনা সময়ই তা বলে দেবে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।