মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘সৌহার্য্মপূর্ণ সম্পর্ক’ থাকার পরও ভুটানের সঙ্গে ৬৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘উন্মুক্ত সীমান্তে’ বেশি কিছু ‘কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য নয়া দিল্লি জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সূত্র এই পত্রিকাকে জানায় যে ভুটান সীমান্তে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে। ড্রাগন রাজ্যটির সঙ্গে ভারতের চারটি রাজ্য: আসাম, অরুনাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমান্ত রয়েছে। ভুটান সীমান্তে কার্যকর প্রহরা নিশ্চিত করতে পুরো ৬৯৯ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে সব মওসুমে চলাচলে উপযুক্ত একটি সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে মন্ত্রণালয়। ওই এলাকায় বিদ্রোহী গ্রুপগুলো এখনো সক্রিয় থাকায় কার্যকর প্রহরা ব্যবস্থা প্রয়োজন। আসামে নাশকতা করে বিদ্রোহীরা উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে ভুটানের নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে থাকছে। বহু ভুটানি নাগরিক এসব বিদ্রোহীকে আশ্রয় ও রসদ সাহায্য দিচ্ছে বলেও জানা যায়।
একটি সূত্র জানায়, সড়ক নির্মাণের বিষয়টি এখন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এই সড়ক মানাস ন্যাশনাল পার্ক ও বরনাদি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের উত্তর প্রান্ত দিয়ে অতিক্রম করবে বলে মন্ত্রণালয় এখনো ছাড়পত্র দেয়নি।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর ভুটান সীমান্তে সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদ্রোহীদের সঙ্গে ভুটানি নাগরিকদের জড়িত থাকার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সশস্ত্র সীমাবলের (এসএসবি) মহাপরিচালক বিডি শর্মা ঘোষণা করেন যে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়া দিল্লি ভুটান ও ভারতের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দেবে।
প্রথম পর্যায়ে আসামের বিদ্রোহ প্রবণ কাকড়াঝড় ও চিরং এলাকার সঙ্গে ভুটানের ৩৫ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলো এসএসবি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে বলেও শর্মা জানিয়েছিলেন। গত এক বছরে এসএসবি ভুটান সীমান্তে প্রহরা জোরদার করেছে। এই মুহূর্তে সেখানে ২০টি পূর্ণ ব্যাটালিয়ন ও ১৫৮টি অপারেশনাল বর্ডার পোস্ট রয়েছে। অতিরিক্ত জনবল ভুটান সীমান্তে সর্বক্ষণ টহল ও নজরদারি চালিয়ে থাকে। এসএসবি নতুন গোয়েন্দা শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ভুটান সীমান্তে প্রহরার দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছে। সড়ক ও বেড়া নির্মাণ করার পর এই দৃশ্যপট আরো বদলে যাবে বলে সূত্র উল্লেখ করে। উন্মুক্ত সীমান্তে ভুটানের নাগরিকদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে এসএএসবি। খবর রয়েছে যে বহু ভুটানি নাগরিক বিদ্রোহীদেরকে আশ্রয় এবং ভারতের যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছে। যা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। ভুটানের নাগরিকরা দৈনন্দিন প্রয়োজনে ভারতের সীমান্ত শহর ও বাজারগুলোর উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তবে আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে এসএসবি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানের প্রধান করিডোর হলো ভুটান। একাজে ভারতীয় চোরাকারবারীদের সঙ্গে ভুটানের নাগরিকরা জাড়িত।
পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগ অভিযোগ করে যে ভুটানের একটি শক্তিশালী বন্য-প্রাণী চোরাচালানি চক্র অবৈধ ওয়াইল্ড-লাইফ ব্যবসায় জড়িত। তারা দুই দেশের উন্মুক্ত সীমান্তের সুবিধা নিচ্ছে। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।