বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে উপজেলার গোলাকান্দাইল ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে অনিয়মকে নিয়ম করে ঘুষ ও দুর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজেকে ভূমি সচিবের আত্মীয় পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান। গত কয়েক বছরে ব্যবধানে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নায়েব জলিল ভুমি সচিবের আত্মীয় পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার এলএ শাখার এক কর্মকর্তার ঘনিষ্টজন দাবি করে দাবড়ে বেড়ান। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), সার্ভেয়ারসহ কাউকে পরোয়া করেন না। গত কয়েক বছরে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় তার রয়েছে ছয়তলা আলিশান বাড়ি। আর শরীয়তপুরের নিজের এলাকায় রয়েছে দু’তলা বাড়ি। রয়েছে কয়েক বিঘা জমি। সে এলিয়ন গাড়ি হাকিয়ে চলেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গোলাকান্দাইল ভুমি অফিসের নায়েব আব্দূল জলিলের নামজারি, ‘খ’ তফসিলসহ বিভিন্ন কাজে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। নায়েব জলিল শতাংশ প্রতি দিতে হয় ৩ হাজার টাকা করে। এ টাকা জলিল ও সহকারী নায়েব মজিবর ভাগাভাগি করে নেয়। আর সাধারণ নামজারী শতাংশ প্রতি তাকে দিতে হয় ৫শ’ টাকা। আর মিস কেস তদন্তে প্রতিবেদন পক্ষে নিতে গুণতে হয় ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা।
গত সোমবার সকালে ভূমি অফিসের সামনে কথা হয় ভুক্তভোগী মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাই একটা ১০ শতাংশের ‘খ’ তফসিলের কাম লইয়া আইছিলাম নায়েব জলিলের কাছে। “ওনি আমার কাছে শতাংশ হিসাবে ৫০ হাজার টেক্যা চায়। ১০ হাজার টেকা দেওনের কথা কইছিলাম। এইডা হুইনা ওনায় আমারে বকাঝকা দিয়া বাইর কইরা দিছে”। কথা হয় আরেক ভুক্তভোগী ষাটোর্ধ্ব মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি এসেছেন গোলাকান্দাইল এলাকার নাগেরবাগ এলাকা থেকে। সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করতেই ক্ষোভের সুরে বলেন, “এই দেশ কি আইন-কানুন নাই। একটা মিস কেইসের রিপোট ( প্রতিবেদন) দেওয়ার লেইগ্যা জলিল স্যার চাইলো এক লাখ টেকা। আমার কাগজপত্র হগল ঠিক আছে। হেরপরেও হেরে (নায়েব জলিল) কইছি ২০ হাজার টেকা দিমু বাবা আমার কামডা কইরা দেন। বাজান সরকাররে জানাইবেন ওনারে যে এহান থেইক্যা সরাইয়া নেয়”। কায়েতপাড়া থেকে আসা রজ্জব আলী মিয়া বলেন, আমি একটা খারিজের কাম লইয়া আইছিলাম জামাল স্যারের কাছে। কাগজপত্র ঠিক আছে। হেয় দাবী করলো ১৫ হাজার টেকা। আমি ৫ হাজার দেওনের লেইগ্যা স্বীকার করছি। এতে ওনায় রাজি না। জমিন পইরা থাক। লসতো আর নাই। এদের মতো আরো অনেকে নায়েব জলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, দুর্নীতিবাজ নায়েব জলিল ও মজিবরকে অপসারণ করা না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, মানবন্ধসহ নানা কর্মসূচী দেওয়া হবে।
এসব ব্যাপারে সেলফোনে কথা হয় জলিলের সঙ্গে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, যদি অন্য কেউ নিয়ে থাকে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আর আমাকে যদি কেউ ইচ্ছে করে দেয় তখনতো নিতে হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। যদি অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেবো। সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া আছে যেন সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে কাজ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।