Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক আয় ৪০০ কোটি

প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সোহাগ খান : বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, মোবাইল ব্যাংকিং-এ দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৬ শত ৫ কোটি টাকা। এই লেনদেন থেকে কোম্পানিগুলো কমিশন বাবদ আয় করে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিটেইলারগণ অতিরিক্ত আরও আদায় করেন প্রায় ১শ’২০ কোটি টাকা।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর মাসিক আয় ৩৬০ কোটি টাকা হলেও রিটেলারগণ আরও ৪০ কোটি অতিরিক্ত আদায় করে থাকেন। যা এক প্রকার প্রকাশ্য ডাকাতি ছাড়া কিছুই নয়।
এজন্য তারা গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ কমানো, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আলাদা মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ আরো বলেন, সেন্ট মানি বাবদও কাটা হচ্ছে কোটি টাকা। যদি এ লেনদেন শুধু সেন্ট মানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে গ্রাহক এ থেকে উপকৃত হতো।
তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো জনস্বার্থে কোনো কাজ না করে জনগণের পকেট থেকে তাদের নিজেদের প্রচারণার জন্য বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যস্ত থাকে। যার ফলে প্রান্তিক অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। গত ৫ বছরে যে অতিরিক্ত সার্ভিস আদায় হয়েছে তা দিয়ে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। বক্তারা বলেন, বিকাশের মাধ্যমে যেহেতু লেনদেন বেশি হয় তাই আমরা এর কমিশনের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে, কোম্পানি কমিশন কেটে নেয় ১.৮৫ শতাংশ আবার বেশির ভাগ রিটেইলার নেয় ২ শতাংশ করে। দেখা যায় যে, যদি একজন গ্রাহক মোবাইলটি মোবাইল ক্যাশ আউট করেন তাহলে তার কাছে থেকে ১০ হাজার টাকার লেনদেনের জন্য কমিশন গুনতে হয় ২শ’ টাকা। আর ৫০ হাজার টাকার লেনদেন করলে ব্যয় করতে হয় প্রায় এক হাজার টাকা। এ বিশাল টাকা ব্যয় করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রকৃত পক্ষে কতটুকু লাভবান হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, যেখানে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করলে সিটির মধ্যে কোনো সার্ভিস চার্জ লাগে না বা সিটির বাইরে ব্যয় করলে ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তরে করলে কমিশন লাগে ২৩ টাকা সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং করলে ব্যয় হয় এক হাজার টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা সাধারণত একটি বার্তার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়, সেই বার্তার খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা।
সেখানে কী উদ্দেশ্যে, কাদের স্বার্থে এ বিশাল সার্ভিস চার্জ নেয়া হচ্ছে তা আমাদের কাছে মোটেও বোধগম্য নয়। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে এ মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে থাকে তাহলে অবশ্যই এর সার্ভিস চার্জ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে। নতুবা এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক আয় ৪০০ কোটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ