Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ট্রেনে সড়কের চাপ : কাউন্টার খুলতেই টিকিট শেষ

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : মধ্যরাতে সেহেরী খেয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। সকাল ৮টায় কাউন্টার খোলার পর দীর্ঘ লাইনের প্রথমের দিকে থাকা যাত্রীরাও এসি কেবিনের টিকিট পাননি। একজন যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, কাউনটার খোলার পর লাইনে দাঁড়ানো প্রথম ব্যক্তিই যখন এসি কেবিনের টিকিট পাননি তাহলে বুঝতে আর বাকি থাকলো কি? টিকিটগুলো চলে গেছে ভিআইপি বরাদ্দে অথবা কালোবাজারিদের হাতে। গতকাল রোববার কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে কয়েকজন টিকিটপ্রত্যাশীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতভর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও কাউন্টার খোলার পর অনেকেই এসি কেবিনের টিকিট পাননি। এমনকি এসি চেয়ারের টিকিট পাননি কেউ কেউ। দীর্ঘসময় আবার কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রিতে ধীরগতির অভিযোগ তুলে টিকিটপ্রত্যাশীরা বলেছেন, এতে করে সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অনেক বেশি। অনেকের অভিযোগ, যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে রেলকর্মীরা মোটেও আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন না। তারা কথায় কথায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন।
গতকাল রোববার বিক্রি হয়েছে ১২জুনের টিকিট। গত দুই দিনের তুলনায় গতকাল টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় ছির বেশি। আগের দিন রাত থেকে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। সকাল ৭টায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কমলাপুরে প্রবেশ করাই দুরুহ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে উত্তরবঙ্গগামী রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরের লাইনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে। মধ্যরাত থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিরাজ হোসেন। তিনি বলেন, এসি কেবিনের টিকিটের জন্য শত কষ্ট উপেক্ষা করে সারারাত লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। সকাল ৮টায় যখন টিকিট বিক্রি শুরু হলো তার অল্পসময়ের মধ্যে কাউন্টারে এসি কেবিনের টিকিট চাওয়া হলে জানানো হয় টিকিট শেষ। এত অল্পসময়ের মধ্যে কীভাবে টিকিট শেষ হয়ে গেল তা জানতে চাইলে কাউন্টার থেকে বলা হয়, এসি টিকিটের সংখ্যা কম, তাই সবাইকে দেয়া সম্ভব না। দিনাজপুরগামী দ্রæতযান এক্সপ্রেসের এসি টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আরও একজন একই অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, টিকিট বিক্রি শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কাউন্টার থেকে জানানো হলো টিকিট শেষ। শুরুতে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছে। শুরুতেই এসি টিকিট শেষ- এমন অভিযোগের বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আমদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদের মধ্যেই চেষ্টা করছি। ঈদের সময় যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে এসি কেবিন, এসি সিটের। কিন্তু কেবিনের পরিমাণ তো সীমিত। তাই ইচ্ছে করলেই চাহিদামতো সবাইকে দেয়া সম্ভব নয়। সব স্টেশনের জন্য তো আর পর্যাপ্ত এসি ক্যাবিন থাকে না। এমন হতে পারে অভিযোগকারীরা যে স্টেশনের জন্য চেয়েছেন সেখানার জন্য হয়তোবা কোটা শেষ। সে কারনে তারা পাননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ