Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজস্ব ভবন তৈরির উদ্যোগ নেই: অন্তহীন সমস্যায় পীরগাছা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রংপুরের পীরগাছায় মন্থনা জমিদার বাড়ির একটি চিলে কোঠা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি জমা রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। দীর্ঘ দিনেও এ অফিসের নিজস্ব ভবন তৈরীর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নিরাপত্তা বেষ্ঠনী না থাকায় বিভিন্ন সময়ে খোয়া গেছে বালাম বইসহ মূল্যবান দলিল পত্র। বর্তমানে এলাকাটিতে রাতের আধারে মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানা গড়ে উঠেছে।
জানা যায়, ১৯৬৭ খ্রিঃ মন্থনার জমিদার বাড়ির বাহির আঙিনা ভাড়া নিয়ে অফিসটির কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে রেজিস্ট্রেশনের কাজ করতে হয় এ অফিসে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে এখানে পাঁচ হাজারের বেশী দলিল সম্পাদন হয়। ফলে সরকারি কোষাগারে বিপুল পরিমান রাজস্ব জমা হলেও জরাজীর্ণ অফিসটি পরিবর্তন কিংবা নিজস্ব ভবন নির্মাণের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অফিসটির জরাজীর্ণ টিনশেডে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাজ করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। টিনের চাল ছিদ্র থাকায় বৃষ্টি বাদলে ভিজে অনেক মূল্যবান দলিল পত্র নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও নিরাপত্তা মুলক স্টোর রুমের অভাবে বিভিন্ন সময় মূল্যবান রেকর্ড (বালাম বই) বই পত্র খোয়া গেছে। প্রয়োজনীয় আসবাব পত্রের অভাবে প্রায় ৪০ জন নকল নবীশকে অতি কষ্টে কাজ করতে হয়। জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনের জন্য বসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও উন্মুক্ত মাঠে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে ভিজে জমি রেজিস্ট্রির কাজ সম্পণœ করতে হচ্ছে। ফলে রেজিস্ট্রি করতে আসা অসুস্থ্য ব্যক্তিরা বিপাকে পড়ছে।
রেজিস্ট্রি অফিসটি নির্জন ও পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ির চিলে কোঠাতে হওয়ায় ওই এলাকায় রাতের আধারে মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানা গড়ে ওঠেছে।
সাব রেজিস্ট্র্রার অফিসের একাধিক দলিল লেখক অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও অফিসটির কোন উন্নয়ন হয়নি। চিলে কুটির একমাত্র টিনশেডে গাদাগাদি করে দলিল সম্পাদন করতে হচ্ছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে বসেও দলিল সম্পাদনের কাজ করছেন।
জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা আব্দুস ছালাম ও শাহানত হোসেন শিমুলসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদে অনেক জায়গা পরিত্যক্ত থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তা স্থানান্তর করা হচ্ছে না। বছরের পর বছর মোটা অংকের অর্থ ভাড়া প্রদান করা হচ্ছে। ফলে সরকারের বিপুর পরিমান অর্থ অজ্ঞাত কারণে খোয়া যাচ্ছে।
সাব রেজিস্টার বদিয়ার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভাড়া বাসায় কার্যক্রম চলছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসের কাজকর্ম পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ