Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে কোর্ট স্টেশন প্লাটফর্মের মেঝেতে একেবারেই নিম্নমানের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। যে সময়ে কাজ করার কথা ছিল সে সময়ে কাজ না করে ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসার প্রাক্কালে স্থানীয় কয়েক যুবক ও রেলওয়ের খালাসি যৌথভাবে এ কাজ তড়িঘড়ি করে যাচ্ছেন। তাই অনেকে বলছেন, রেলওয়ের খালাসি সোলেমানই এখন ঠিকাদার। আবার তিনি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বড় স্টেশনে তিনি রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পিতার চাকরির সুবাদে তিনি রেলওয়েতে খালাসির চাকরি পেয়ে নিজেকে অনেক বড় মাপের অফিসারের হাবভাব দেখিয়ে চলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর বড় স্টেশন প্লাটফর্ম থেকে শুরু করে লাকসাম জংশন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার টেন্ডার পেয়েছেন চট্টগ্রামের কাশেম কনস্ট্রাকশন। এটি এক প্যাকেজের কাজ। ওই ফার্ম থেকে সোলেমান আরো ২/৪ জনকে সাথে নিয়ে শহরের কোর্ট স্টেশন প্লাটফর্মের দেয়াল ও ফ্লোর পুনঃসংস্কার কাজটি ১৩ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন বলে রেলওয়ের একটি স‚ত্র জানায়। ওই কাজটির সাথে জড়িত সোলেমান ও আলমগীর নামে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। চলমান কাজের মান এতোটাই নিম্নমানের যে, এ যেন পুকুর চুরি। সিডিউলে যেভাবে কাজের ধরণ রয়েছে তার কিছুই করা হচ্ছে না। প্লাটফর্মের দক্ষিণ পাশে যে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে খুবই নিম্নমানের ইট দিয়ে গাঁথুনি দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফ্লোর খোদাই করে যে ইট বের করা হয়েছে ওইসব ইট পরিষ্কার না করেই গাঁথুনিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে দেয়ালের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাজমিস্ত্রি আলাপকালে জানান, স্ত‚প করা নিম্নমানের ইটগুলো কেনো আনা হয়েছে তা আমি জানি না।
জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি টিটিই মাহবুবুর রহমান জানান, কাজের মান আমরাও দেখছি নিম্নমানের হচ্ছে। তবে সচেতন মহল এ ব্যাপারে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করলে ভালো হবে।
রেলওয়ের খালাসি সোলেমান জানান, ভালো কাজ করতে গেলে বদনামের ভাগ নিতে হয়। যেমন ভাত খেতে গেলে দু চারটি মাটিতে পড়ে। এক নাম্বার ইটের সাথে পিকেট থাকতে পারে। বালু মিশ্রণের কথা রয়েছে এক বস্তা সিমেন্টের সাথে ৬ টুকরি। কিন্তু মেশানো হচ্ছে এক বস্তা সিমেন্টের সাথে ১০/১২ টুকরি। যে ফ্লোর ভাঙ্গা হচ্ছে, সে স্থান থেকে কংক্রিট অপসারণ করে মাটি খুঁড়ে ডাম্পিং করে নিচু স্থান সমান করার কথা। তারপর রড বিছিয়ে ঢালাই দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই করা হচ্ছে না। সোলেমান সকাল হলে কোর্ট স্টেশনে এসে কাজের তদারকি করেন। কাজের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, কাশেম কনস্ট্রাকশনের কাজ এগুলো। আমরা রেলওয়েতে চাকরি করি। নির্দেশ দিলে কাজ দেখতে ঘটনাস্থলে আসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ