দেশের নয় জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের সঙ্গে এবং মাদক বিক্রেতাদের নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে ’ ১৫ জন নিহত হয়েছে। এদের সবাই চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা বলে দাবি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত এসব ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘সংঘর্ষ’র ঘটনা ঘটে।
নয় জেলার মধ্যে ঢাকায় চারজন, মাগুরায় তিনজন, যশোরে দুই এবং চুয়াডাঙ্গায়, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে একজন করে নিহত হয়েছে।
রাজধানীর ভাষানটেক দেওয়ানপাড়া লোহার ব্রিজ এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘
বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দু’টি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আতাউর রহমান আতাসহ (৪৬), বাপ্পি (৩৮) ও মোস্তফা হাওলাদার ওরফে কসাই মোস্তফা (৫০)।
সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘
বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘
বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি শীর্ষ মাদক বিক্রেতা তানজিল হোসেন (৪০) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, চার রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে র্যাবের সঙ্গে ‘
বন্দুকযুদ্ধে’ আশান হাবিব (৪৫) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় একটি ওয়ান শুটারগান, এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
বেনাপোল অফিস জানায়, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে দু’দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে ‘
বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দু’টি লাশ, দু’টি ওয়ান শুটারগান ও ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় এলাকার মাজহারুল ইসলামের ছেলে লিটন হোসেনের (৩৫) নাম জানা গেছে। নিহত লিটনের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।