Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বরাদ্দ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৪ সালে নেয়া এ উদ্যোগে এবার বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে বরাদ্দের এ অর্থ ব্যয়ে একবছর অতিরিক্ত সময়ও পাচ্ছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি সংস্কার ও আধুনিকায়ন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের জন্য প্রস্তাব এসেছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটির মূল পর্যায়ে ব্যয় ছিলো ৫৫ কোটি টাকা। সংশোধনীর জন্য প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ৬৪ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৪ সালে অনুমোদনের পর চলতি বছরে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ২০১৯ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলা
া মিটিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়ন করা হবে। গুরুত্ব বিেেদশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি আধুনিকায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে জনশক্তির চাহিদবচনায় আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব করা হতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে ও বিদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প/শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড ও নৌ পরিবহন সেক্টরের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন সম্ভব হবে। এর আওতায় প্রশিক্ষকদের দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা যাবে।
তাছাড়া এ প্রকল্পটির মাধ্যমে একাডেমিক ভবন, ছাত্র/ছাত্রী হোস্টেল, আবাসিক ভবন, ডরমেটরিসহ অন্যান্য ভবন নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পটির মাধ্যমে একাডেমিক ভবন, দুটি ছাত্র হোস্টেল ও একটি ছাত্রী হোস্টেল, কয়েকটি ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা ও একটি ছাত্রী হোস্টেল ডকুমেন্টারি কাম গেস্ট হাউসের কাজ চলমান আছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ১৩ একর ভূমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়নের সময় বিভিন্ন পূর্ত কাজের বিপরীতে খসড়া প্রাক্কলনে যে অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে বাস্তবে ওই নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে কাঠামোগত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে এ প্রকল্পের ব্যয় কিছুটা বাড়ছে।
প্রকল্প এলাকার আবাসিক ভবনগুলো ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬০ সালে নির্মিত এবং পরবর্তী বছরগুলোতে কোন ভবনের মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায়ও প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন স্থাপিত কয়েকটি ভবনে বৈদ্যুতিক সংযোগের কারণে বৈদ্যুতিক চাহিদা বৃদ্ধিও ব্যয় বাড়ার অন্যতম কারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ