Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে ব্যাংকঋণ সুদে ছাড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সক্রমাগত লোকসানে থাকা জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে টেনে তুলতে ব্যাংকঋণে সুদহার ও ঋণ পরিশোধের মেয়াদে বড় ধরনের সুবিধা দিল সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো পৃথক দুটি নির্দেশনা সংযুক্ত করে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত সার্কুলারটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বিনিয়োগকৃত মূলধনের বিপরীতে প্রদেয় উচ্চ সুদের হার কমানো ও দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এ বিষয়ে গত ৩ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), সোনালী ব্যাংক, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-নিয়মিতভাবে জাহাজ নির্মাণ ও রফতানিতে নিয়োজিত শিপইয়ার্ডগুলোকে তারল্য সংকট মোকাবেলায় আবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদত্ত সব ধরনের মূলধনি ঋণের সুদাসল ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিক হিসাবায়ন করে কোনো ডাউনপেমেন্ট ছাড়াই তিন বছরের মরেটরিয়াম সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী ১০ বছরে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের লক্ষ্যে পৃথক বøক অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগে যেসব ঋণ দিয়েছে, সেগুলোর সুদবাহী পুনঃতফশিলকৃত দায়গুলোও বর্ণিত সুবিধার আওতায় পরিশোধযোগ্য হিসেবে গণ্য করা যাবে।
ওই চিঠির কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বিনিয়োগকৃত মূলধনের বিপরীতে প্রদেয় উচ্চ সুদের হার কমানো ও দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে দেশের জাহাজ নির্মাণ ও রফতানিতে নিয়োজিত শিপ ইয়ার্ডগুলোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সৃষ্ট বøক অ্যাকাউন্ট সুদবাহী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সুদের হার সহজ বা নমনীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ