পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনাময়ের হাত ছানি। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গত ১০ বছরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা (১৭০ মিলিয়ন ডলার)। এমনকি গত পাঁচ বছর বিশ^ব্যাপী এ শিল্পে মন্দাভাব না থাকলে রফতানি আয় আরও কয়েকগুণ বাড়তো। তবে দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৯ শতাংশ এককভাবে অর্জন করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপইয়ার্ড কোম্পানি। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কোম্পানি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রথম পাঁচ মাসে তথা জুলাই থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে তিন কোটি চার লাখ ৫০ হাজার (৩০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা একই সময়ে গত অর্থবছরে ছিল ৫৪ লাখ ৩০ হাজার (৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন) ডলার অর্থাৎ এ খাতে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপইয়ার্ড কোম্পানির চেয়ারম্যান, সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ডিএমডি আবদুল মবিন, পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান ও স্বাধীন পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনাপ পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউরোজোন সংকট পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হওয়া শুরু করেছে। যা সারা বিশ্বের জাহাজ নির্মান শিল্পের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মাঝারী ও ছোট জাহাজ নির্মাণের ২০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ কেবল মাত্র এক বিলিয়ন ডলারের নিশ্চিত করে। যেখানে ওয়েষ্টার্ণ মেরিন শীপইয়ার্ড বাংলাদেশের মোট সম্ভাব্য অর্জনের ২৫ শতাংশ অবদান রাখে।
মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাহাজ শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। দেশের এ শিল্পে প্রতিনিধিত্ব করছে শীর্ষ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপইয়ার্ড লিমিটেড। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি ২০০০ সালে অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও কার্গো নিমার্ণ শুরু করে। কোম্পানির কলেবর বৃদ্ধিও সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ তৈরি করে। যা ২০০৮ সালে রফতানি শুরু করে। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরে অভ্যন্তরীণ ও বাণিজীক সর্বমোট ১৪৩টি জাহাজ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৩১টি রফতানি ও ১১২ টি অভ্যান্তরীন চাহিদা মেটানো হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আরও ৩৮টি জাহাজ নির্মানাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৪২টি জাহাজ রফতানি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৭ কোটি ডলার। আর ৪২টির মধ্যে ৩১টি এককভাবে রফতানি করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপইয়ার্ড কোম্পানি। যা বাজার মূল্য ১৫ কোটি ডলার।
তিনি বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শীপইয়ার্ড তৈরি করে ফেরি, কার্গো ভেসেল, প্যাসেঞ্জার ভেসেল, অফসোর পেট্রোল ভেসেল, হাই টেক ফিশিং ট্রলার, টাগবোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট টেংক ইত্যাদি। এসব পণ্য সুনামের সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। রফতানিকারক দেশের মধ্যে জামার্ন, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, কেনিয়া, ইকুয়েডরসহ মোট ১২টি দেশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোম্পানিটি প্রতি বছর তিন হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করছে। একই সঙ্গে পাঁচ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আর্র্জন করছে। এর মধ্যে সরাসরি তিন কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং পরোক্ষভাবে দুই কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
তাছাড়া সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহন (ব্রিজ, পোর্ট, গ্যাস, বিদ্যুৎ) করছে, বছরে প্রায় ৫০০ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে, মূল্য সংযোজন ও সহযোগী শিল্পের বিকাশ তথা ইলেকট্রিকেল, একোমোডেশন, ফার্নিচার্স, সেনিটারী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পার্টস, পেইন্টস ইত্যাদি দেশীয় শিল্পের বিকাশে সহায়তা করছে।
তাছাড়া সম্প্রতি এলএনজি জাহাজ নির্মাণের একটি নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য নতুন স্বম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন হয়েছে। যেখানে ওয়েস্টার্ন মেরিন দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার প্রথম শীপইয়ার্ড হিসেবে এলএনজি বাংকার জাহাজ নির্মাণের কাজ নিশ্চিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।