রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম ২ উপজেলাবাসীর মধ্যে যাতায়াতের জন্য নতুন ডাকাতিয়া নদীর উপর একটি (মরকটা) সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সরকারিভাবে এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত সহযোগিতায় নদীর উপর স্টিলের পাত দিয়ে ১৬টি পিলারের উপর জনসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে যাতায়াতের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় ২ উপজেলাবাসীকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, নাঙ্গলকোটের পিপড্ডা, বেকামলিয়া, পুর্ব খাঁঘর, দাসনাইপাড়া, শ্রীরামপুর, বাসন্ডা, কুকিরিখিল এবং চৌদ্দগ্রামের মরকটা, করপাটি, আগুনসাইল, মাসকরা, চন্দ্রপুর এবং তারাসাইলের প্রায় দু‘লাখাধিক জনগণের যাতায়াতের জন্য নতুন ডাকাতিয়া নদীর ওপর একসময় এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো এবং কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়। বাঁশের সাঁকো এবং কাঠের পুল দিয়ে নাঙ্গলকোট এবং চৌদ্দগ্রামের লোকজন দু‘উপজেলায় যাতায়াত করতেন। মরকটা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, রাবেয়া আরশাদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মরকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাঙ্গলকোটের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করতেন। বাঁশের সাঁকো এবং কাঠের পুল দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হতো। অনেক সময় বাঁশের সাঁকো এবং কাঠের পুল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নদীতে পড়ে গিয়ে আহত হতে হয়েছে।
২০০৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মরকটা গ্রামবাসীর উদ্যোগে মরকটা গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত সামছুল আলম মজুমদার তার পিতা আলহাজ্ব আবদুল আজিজ মজুমদারের নামে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি পিলারের উপর স্টিলের পাত দিয়ে মরকটা সেতু নির্মাণের ফলক উন্মেচন করেন। এই সেতু দিয়ে মরকটা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, রাবেয়া আরশাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মরকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং দু‘উপজেলাবাসী হেঁটে যাতায়াত করেন। এছাড়া, সেতুটি দিয়ে নাঙ্গলকোটের জনগণ চৌদ্দগ্রাম হয়ে কুমিল্লা, ফেনী এবং ঢাকা-চট্রগ্রামে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সেতুটি দিয়ে একমাত্র বাইসাইকেল এবং মোটরসাইকেল ছাড়া ভারী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। যার ফলে এলাকাবাসীকে মালামাল পরিবহনে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে স্টিলের পাত ভেঙ্গে যাওয়াসহ মরিচা পড়ে গেছে। এছাড়া সেতুর পিলারগুলো নড়বড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে, এই সেতুটি এলাকার সব বয়সী মানুষের নিকট একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সকাল-বিকাল ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ সেতুটিতে বেড়াতে আসেন এবং সময় কাটান। তারা সেতুতে ছবি তোলেন।
মরকটা গ্রামের নুর আহম্মদ মজুমদার, মিজানুর রহমান মজুমদার, নুর হোসেন মজুমদার পিপড্ডা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মনতু মিয়া, মরকটা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতুটি ২ উপজেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি দিয়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা মাদ্রাসা এবং বিদ্যালয়ের যাতায়াতের পাশাপাশি কুমিল্লা, ফেনী এবং ঢাকা-চট্রগ্রামে নিয়মিত যাতায়াত করেন। স্টীলের পাতের উপর নির্মিত সেতুটি গত সাড়ে বার বছরের ব্যবধানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারা একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য দু‘উপজেলার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হকের নিকট দাবি জানান।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী ইকরামুল হক বলেন-এ সেতুটি (মরকটা) নির্মাণের ব্যাপারে এখন কোন পরিকল্পনা নেই। আগামী অর্থ বছরে উদ্যোগ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।