পাকিস্তানে অমুসলিম ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩০ ভাগেরও বেশি। ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় সেখানে নিবন্ধিত অমুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মোট সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ ৭০ হাজার। কিন্তু তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ ৩০ হাজার। ফলে গত ৫ বছরে এমন ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার। যা শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এ পত্রিকাটি সরকারি যেসব ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছে সে অনুযায়ী, সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা। ২০১৩ সালের নির্বাচনে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। আর সব মিলিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মোট ভোট ছিল ২৭ লাখ ৭০ হাজার। বর্তমানে সেখানে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭০ হাজার। সবচেয়ে বেশি হিন্দুর বসবাস সিন্ধু প্রদেশে। সেখানকার দুটি জেলায় মোট ভোটারের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি হিন্দু। হিন্দু ভোটারদের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন খ্রিস্টানরা। তাদের মোট সংখ্যা ১৬ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে ১০ লাখের বেশি বসবাস করেন পাঞ্জাবে। আর দুই লাখের বেশির বসবাস সিন্ধু প্রদেশে। হিন্দুদের তুলনায় তাদের আনুপাতিক বৃদ্ধি অনেক বেশি। এ ছাড়া আহমাদি সম্প্রদায়ের ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬৭ হাজার ৫০৫। তাদের বেশির ভাগের বসবাস পাঞ্জাবে। এর পরে রয়েছে সিন্ধু ও ইসলামাবাদ। ২০১৩ সালে তাদের মোট সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬। মোট শিখ ভোটারের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৫২। এর বেশির ভাগই রয়েছেন খাইবার পখতুনখাওয়া, সিন্ধু ও পাঞ্জাবে।২০১৩ সালে পারসি ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৫০। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৩৫। এ ছাড়া ২০১৩ সালে বৌদ্ধ ভোটারের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৫২। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮৪। তাদের বেশির ভাগের বসবাস সিন্ধু ও পাঞ্জাবে। বাহাই সম্প্রদায়ের মোট ভোটারের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৪৩। ডন যেসব ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছে তাতে ইহুদি ভোটারের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নি। যদিও ২০১৩ সালের তালিকায় ৮০৯ জন ইহুদি ভোটারের নাম ছিল। এখনও পাকিস্তানে জেলাভিত্তিতে অমুসলিম ভোটারের তালিকা প্রস্তুত হয় নি। তবে ২০১৩ সালের সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অমুসলিম ভোটারের সবেচেয়ে বেশি অনুপাত হলো সিন্ধু প্রদেশের উমেরকট ও থারপারকার জেলায়। যথাক্রমে তা শতকরা ৪৯ ভাগ ও ৪৬ ভাগ।