মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিঙ্গাপুরে আগামী ১২ জুন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্মেলনের প্রস্তুতির ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা দিলেও রোববার তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে বিশেষ সম্মেলনের পরিকল্পনা চমৎকারভাবে এগিয়ে চলছে। এদিকে, শনিবার সীমান্তের যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজমে আকস্মিক বৈঠক করেছেন কিম জং উন ও দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। বৈঠকের পর দক্ষিণের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কিম জং উন তাকে (মুন) বলেছেন, কয়েক দশকের দ্ব›েদ্বর অবসানে এই আলোচনা হবে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ‘উত্তর কোরিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। উত্তরের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের ব্যাপারে কিম আগের অবস্থানে রয়েছেন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আমরা খুব ভালোভাবে কাজ করছি। এটা চমৎকারভাবে এগোচ্ছে। এজন্য আমরা সিঙ্গাপুরে ১২ জুনের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমরা দেখব, কী ঘটতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ংয়ের ‘প্রকাশ্য শত্রুতা’র অভিযোগ এনে সিঙ্গাপুরে ১২ জুনের অনুষ্ঠেয় বৈঠক ট্রাম্প বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর কোরীয় দ্বীপে আবারো বিশৃঙ্খলা তৈরির শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পার হতেই ট্রাম্পের সুর নরম হয়ে আসে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এখনো বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন কিম জং উন। অসামরিক এলাকা পানমুনজমে শনিবারের আকস্মিক বৈঠকে কিম তার প্রতিশ্রুতির কথা মুনকে জানান। মুন জায়ে ইন বলেছেন, ‘১২ জুনের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমি এবং চেয়ারম্যান কিম একমত হয়েছি। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তিপূর্ণ স্থায়ী শাসনব্যবস্থাই আমাদের চাওয়া।’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নজিরবিহীন এ বৈঠক নিয়ে গত কয়েকদিনে কোরীয় দ্বীপের কূটনৈতিক পরিসরে অত্যন্ত নাটকীয় উত্থান-পতন দেখা গেছে। ‘হচ্ছে’, ‘হচ্ছে না’ এমন এ বৈঠক নিয়ে দুই কোরিয়ার নেতা অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন। পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কিম জং উন তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেও মুন বলেছেন, পিয়ংইয়ং এবং ওয়াশিংটনের ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যাশা থাকতে পারে। তবে তাদের এই বিভেদ দূর করার জন্য উভয় পক্ষকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেছেন, “চেয়ারম্যান কিম ও আমি একমত হয়েছি যে, ১২ জুনের শীর্ষ সম্মেলন সাফল্যজনকভাবেই হওয়া উচিত এবং কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অভিষ্ট এবং চিরস্থায়ী শান্তির শাসনের সম্ভাবনা রুদ্ধ করা উচিত নয়।” যুক্তরাষ্ট্রর ও উত্তর কোরিয়ার নজিরবিহীন শীর্ষ বৈঠককে কেন্দ্র করে সপ্তাহজুড়ে চলা কূটনৈতিক উত্থান-পতনের পর পানমুনজোমের বৈঠকটি ঘটনায় সর্বশেষ নাটকীয় মোড় সৃষ্টি করেছে। পানমুনজোমের বৈঠক থেকে জোরালোভাবে এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে কিম-ট্রাম বৈঠকের সম্ভাবনা ধরে রাখতে কোরিয়ার নেতারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।