পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শান্তিনিকেতনে আনন্দ ভ্রমণ করছেন। কোনো আলোচ্যসূচি নেই, কোনো ধরনের এজেন্ডা নেই, প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে খোশ গল্পে এই রমজান মাসে সঙ্গীত উপভোগ করছেন। এটি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাচ্ছিল্য করা। এটা দেশের জনগণকে অবমাননা করা। গতকাল (শনিবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, যদি বুঝতাম, এক বালতি তো বলেছিলাম সেদিন, এক বাটি তিস্তার পানি নিয়ে আসতে পারতেন, তাহলে বুঝতাম একটা কাজ করেছেন। এতই তার অনুরাগ ওই দেশের প্রতি। তাদের সবই দিয়ে যান। কোন কৃতজ্ঞতা বশে সেটি দিয়ে যাবেন, সেটা মনে হয় জনগণ জানে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থেই শেখ হাসিনার জমিদারিত্বে পরিণত হয়েছে। একদিকে চালাচ্ছেন হত্যার মহাযজ্ঞ, আরেকদিকে একতরফা নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তিনি তার অনুগত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়ে এখন তিনি শান্তিনিকেতনে আনন্দ ভ্রমণ করছেন।
গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েভে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের অভিযোগ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় রাতে বিচার বহির্ভূতভাবে নিরীহ লোকদের হত্যা করা হয়। হত্যার ভয় দেখিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলছে ঈদের আগে রমরমা বানিজ্য। কিন্তুবাতাসে বারুদের পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে সরকার নিজের জন্য মহা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
রিজভী বলেন, এখন দেশজুড়ে মাদক বিরোধী যে অভিযান চলছে সেখানে পুলিশ তাদের ইচ্ছা মতো সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে কোথাও কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে, হয়রানী করছে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে নির্মমভাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে কিংবা হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। যদিও বলা হচ্ছে তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। আসলে মাদক ব্যবসায়ের যারা গডফাদার তারা মূলত: আওয়ামী লীগেরই লোক, আর সেই কারনেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই সাড়ে নয় বছর হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসার নেপথ্যের কারিগর’রা বিদেশে আয়েশী জীবন-যাপন করছে অথবা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হয়ে দেশেই বসবাস করছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও টেকনাফের এমপি মাদক স¤্রাট বদিসহ আওয়ামী লীগের শত শত বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখনও পর্যন্ত তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হয়নি।
দেশে মাদক বিস্তারের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ি করে তিনি বলেন, তাদের আমলেই সকল সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদক এর চালান ঢুকছে বাংলাদেশে অত্যন্ত নিরাপদে। সীমান্ত দিয়ে যারা মাদক আমদানী করছে এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে, মাদক ব্যবসা করছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক, কিংবা তাদের সমর্থিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য। গণমাধ্যমে এই তালিকা তো ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এখন মাদক নির্মূলের নামে সরকারের মন্ত্রীদের যে মায়াকান্না চলছে তা সিনেমার অভিনব দৃশ্যের মতো।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি, যা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটের ময়দান ধ্বংসের শামিল। এর ফলে ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থাকবে না। এটি ভোটারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। ক্ষমতাসীন দলকে লাভবান করতেই ইসি নির্বাচনী এই আচরণবিধি সংশোধন করেছে বলেও অবিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সিইসি চান না দেশে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। এই নির্বাচনী আইনের ফলে আইনের চোখে সবাই সমান থাকল না। এটি সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।