নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনে অধিনায়ক হিসেবে নামের পাশে লিখিয়েছেন গর্বের বিশ্বকাপ ট্রফি। অবসরের পর মেসিদের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন বেশ কিছুদিন। আরেকটি বিশ্বকাপের আগে ‘এই আর্জেন্টিনা’কে নিয়ে কোন আশাই দেখছেন না ডিয়াগো ম্যারাডোনা! রাশিয়া বিশ্বাপের প্রথম রাউন্ডও পার হতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ফুটবল কিংবদন্তির রাগটা কোচ হোর্হে সাম্পাওলির উপর। তার গোলমেলে রণকৌশলের কারণেই নাকি এবার ডুববে আর্জেন্টিনা!
একে তো আর্জেন্টিনা এমন এক গ্রুপে পড়েছে, বাকি তিন দল কেউ কারও চেয়ে কম নয়। ‘ডি’ গ্রুপে মেসিদের তিন প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। ফলে পরিষ্কার দুই ফেবারিট নেই এই গ্রুপে। কোন দল কাকে কখন কাটবে, বলা কঠিন। আর্জেন্টিনার পথচলা যে মসৃণ হবে না, সেটা না বললেও চলে। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে ম্যারাডোনাকে বেশি ভাবাচ্ছে আর্জেন্টিনা দলটাই। এই দলে ম্যারাডোনা কোনো নেতা দেখেন না। দেখেন না পরিকল্পনার ছাপও।
গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বেলারুসিয়ান ক্লাব ডায়নামো ব্রেস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ম্যারাডোনা। সেই অনুষ্ঠানেই ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাতি পাওয়া এই তারকা নিজ দেশের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে চাছা-ছোলা মন্তব্য করেছেন, ‘আমার তো সন্দেহ হয়, সত্যিই সন্দেহ হয়। আশা তো করি, প্রথম রাউন্ডটা ভালোয় ভালোয় পার করে দেব। আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়া আমাদের জন্য কখনোই সহজ হবে না, কখনোই না।’ এরপরই নিজ দলকে ধুয়ে দিয়েছেন, ‘এই দলের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, সামনে থেকে পথ দেখায়, এমন কোনো নেতা নেই, কোনো রণকৌশল নেই। আমার তো মনে হয়, আর্জেন্টিনা দলের মানমর্যাদাই এবার ঝুঁকির মধ্যে আছে। আর্জেন্টিনা থেকে খবর পেয়েছি যে তারা ২-৩-৩-২ ফরম্যাটে খেলতে চায়। এটা হাস্যকর। এখন কেউ এভাবে খেলে বলুন? এ রকম খেলা তো সেই ১৯৩০ সালে খেলা হতো।’
আর্জেন্টিনা তাদের দুই বিশ্বকাপ ট্রফির সর্বশেষটি বিশ্বকাপে জিতেছিল ১৯৮৬ সালে। মনে করা হয় অনেকটা ম্যারাডোনার একক নৈপুণ্যেই জয় পায় দক্ষিণ আমেরিকান দেশটি। পরে ২০১০ সালে কোচ হিসেবেও দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জেতার পর বড় কোন ট্রফি জিততে পারেনি দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার লিওনেল মেসিকে ঘিরে ফের আশায় যখন সমর্থকরা তখন আলো দেখছেন না ম্যারাডোনা। তবে এতে খেলোয়াড়দের কোন সমস্যা দেখছেন না তিনি, ‘সমস্যা খেলোয়াড়রা নয়, সমস্যা তাদের যিনি গাইড করছেন তিনি। কি করতে চান সে সম্পর্কে তার ধারণা নেই। যদি কোচ পুরো কনসেপ্ট নিয়েই ধোঁয়াশায় থাকে তাহলে খেলোয়াড়রা মিরাকল এনে দেবে না।’
বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের আনা সব অর্জন এই বিশ্বকাপে ধূলিসাৎ হয়ে যায় কিনা তা নিয়েও বড় ধরনের শঙ্কা তার, ‘আর্জেন্টিনা এই দলের কোন অভিজ্ঞতা নেই, নেতৃত্ব নেই, কোন পরিকল্পনা নেই। আমার মনে হয় আমরা মানসম্মান হারানোর বড় ধরণের ঝুঁকিতে আছি। একসময় চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা যে সম্মান অর্জন করেছিলাম তা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।’ কোচকে ধুয়ে দিলেও ম্যারাডোনা পক্ষ নিয়েছেন মেসির। আর্জেন্টিনাকে বড় কোন ট্রফি জেতাতে না পারায় প্রায়ই তেতো কথা শুনতে হয় মেসিকে। তবে ম্যারাডোনা মনে করেন মেসি এমনিতেই সেরা, সে কাপ জিতুক বা নাই জিতুক, ‘শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য মেসির কাপ পাওয়ার দরকার নেই। মেসি এমনিতেই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। ৪০ বছর বিশ্ব ফুটবলে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি এটা বলছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।