পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুরেও একই রকম নির্বাচন সরকার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব ড্যাব এর আয়োজনে শহীদ জিয়ার ৩৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীল নকশা আপনারা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। খুলনায় দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে। এখন গাজীপুরেও একই নীল নকশা তারা করছে। তবে খুলনায় যা করেছে গাজীপুরে তা করতে পারবে না।
কারণ গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়। খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কুটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমরা আমাদের আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকব। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে। যেন আমরা গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসি। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে কি ধরনের আন্দোলন হবে। সারাদেশে এখন একটি মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষও জানে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। কোনো এমপি কোনো মন্ত্রী এই ব্যবসা করে এরা সব তারা জানে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোনো মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। একই সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। অথচ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। সাধারণ মাদক বহন করার লোকটিকে ধরে ধরে হত্যা করছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে নেতাদের নাম বলবে বলে হত্যা করা হচ্ছো। এছাড়া, তাদের হত্যা করার আরেকটি কারণ হল নির্বাচনের বছরে মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিয়া। যেন মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বার বার যান। কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা বাচার সমস্যা হল তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোন আলোচনার বিসয় বস্তুই আনতে পারেন না। কোনদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। এই জন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোন ষড়যন্ত্র করছেন কিনা। এবার যদি তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে ভালো কোন খবর আনতে পারেন তাহলে মনে করব আপনার সফর যৌক্তিক। না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সকল ষড়য়ন্ত্র রুখে দাড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, ড্যাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ড্যাব সসভাপতি খায়রুল ইসলাম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শহিদুল ইসলাম বাবুল, এজেডএম জাহিদ হাসান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।