Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাই আন্দোলন যাব নির্বাচনে

বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্রই এক আওয়াজ

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিএনপির তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন আর ভয়ডর নেই। গ্রেফতার আতঙ্ক আর মামলার ভয়ে বছরের পর বছর অনেকেই কাবু থাকলেও এখন সবাই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন। কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন এবং নির্বাচন দুই প্রস্তুতিই নিচ্ছেন। তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এনিয়ে কথা বললে তারা জানান, ২০১৫ সাল আর ২০১৮ সাল এক নয়। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী এ বছর নির্বাচন দিতেই হবে। হামলা মামলা ও আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে দৌঁড়ের ওপর রেখে নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। এই বাস্তবতা বুঝেই নির্বাচনের অংশ নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে যাবেন তারা। নির্বাচন থেকে দুরে রাখার কোনো অপচেষ্টার ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। তবে নেত্রীর মুক্তির দাবির আন্দোলনের কর্মসূচি ঈদের পরেই চাচ্ছি। আমরাও প্রস্তুত। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, গত ১২ বছর ধরে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবে না। খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। তবে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তার মুক্তির ওপর নির্ভর করছে আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তীব্র আন্দোলনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত জানিয়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, জাতীয় নির্বাচন হলো সরকার পরিবর্তনের জন্য। সেই নির্বাচনের সময় নেতাকর্মীদের মনোবলও থাকবে অত্যন্ত দৃঢ়। সবার টার্গেট থাকবে একটিই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা। নেতাকর্মীরাও জীবন-মরণ সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবে। সেখানে কোন ভয়ডর থাকবে না। ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্য দল প্রস্তুত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেও আরও ছয়টি মামলায় আটকাদেশের কারণে মুক্তি পাননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় প্রধানকে মুক্ত করে আনতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছে নেতাকর্মীরা। তবে বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় শুধু আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
এজন্য তীব্র আন্দোলনের বিকল্প দেখছেন না তারা। পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও কাছাকাছি চলে আসায় সেটি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে নেতাদের। বিশেষ করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মডেল (বিএনপির মতে- ভিন্ন ধরণের ভোট কারচুপি ও জাল ভোট) দেখার পর এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়া নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে শতভাগ যৌক্তিকতা দেখছে দলটি। অন্যদিকে কারচুপির পরও বিএনপির ভোট ও জনসমর্থন দেখে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের পথে হাটবেনা বলেও মনে করেন তারা। এজন্য এই দাবিও আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করতে চায় তারা। ফলে দলটির সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শুধু দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্যই নয়, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, মানুষের অধিকারগুলোকে যদি ফিরিয়ে দিতে হয় তাহলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। গত ৮ ফেব্রæয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অনশন কর্মসূচি, লিফলেট বিতরণ, গণস্বাক্ষর, কালো পতাকা প্রদর্শন, অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। একইসাথে আইনিভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে কাজ করেছেন আইনজীবীরা। ইতোমধ্যে ওই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জামিন দিয়েছে। কিন্তু আরও ৬টি মামলায় আটকাদেশ থাকায় তিনি মুক্ত হতে পারেননি। শুধু আইনি লড়াইয়ে যে খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পারবেন না সেটি মনে করে আন্দোলনের জন্য একমত হয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালত তার জামিন দিলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি ঠেকাতে সরকার নানা কূটকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শুধু আদালতের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করলে হবে না। আইনি লড়াইয়ের পাশপাশি কঠোর আন্দোলনে নামতে হবে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক মামলায় রায় দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে আচরণ করছে। তারপরও আমাদের আইনি লড়াই চলছে। তবে মামলা ও রায় যেহেতু রাজনৈতিক তাই কেবল আইনি লড়াইয়ে কাজ হবে না। এজন্য আন্দোলনের প্রয়োজন আছে। জামিন পাওয়ার পরও তাকে আটকে রাখতে কিধরণের নির্লজ্জ আচরণ করা হচ্ছে তা সকলে দেখছে। এমন নজির পৃথিবীর কোথাও আছে বলে কেউ বলতে পারবে না। উদ্দেশ্য একটাই খালেদা জিয়ার উপর জুলুম করা তাকে ঘায়েল করা।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারকে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে যদি তারা দূর্বলতা ভাবে তাহলে ভুল করবে। এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহŸান জানিয়ে দলটির এক সিনিয়র নেতা বলেন, এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি, আমরা আশা করবো সরকার মানুষের চোখের ভাষা, মনের কথাগুলো পড়বে। মানুষ কি চায়, তারা ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আইনের শাসন চায় সেটা সরকার বুঝতে সক্ষম হবে।
শীঘ্রই তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা আসবে জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। এতে সরকার যদি কথা না শোনে তাহলে অতীতে শেখ মুজিবুর রহমানকে দুর্নীতির অভিযোগে কারান্তরীন করার পর যেমন দুর্বার আন্দোলন হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে ওঠবে। প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি অফিস-আদালত ঘেরাও করার কর্মসূচি দেবো। সবই নির্ভর করবে সরকার কি চায়?
বিএনপির এই আন্দোলনে শুধু একা কিংবা ২০ দলীয় জোটকে নিয়ে নয়, সরকার বিরোধী সকল শক্তিকে নিয়েই মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে আন্দোলনের রূপরেখাও তৈরি করেছে দলটির সিনিয়র নেতারা। সর্বাত্ম আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনের জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুরুতে আন্দোলনের জন্য হলেও পরে সেটা নির্বাচনী জোটে রূপ নিতে পারে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, বৃহত্তর আন্দোলনের জোট গঠনের ব্যাপারে ২০ দলের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলো প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ড. কামালের গণফোরাম, বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারা, আ স ম রবের জাসদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য। এছাড়াও আরও ছোটখাট বেশ কিছু দল এই জোটে অন্তর্ভূক্ত হবে। সূত্রমতে, এই বৃহত্তম জোট প্রাথমিকভাবে ‘গণতন্ত্র’ রক্ষার আন্দোলন শুরু করবে। এই রাজনৈতিক জোট নির্বাচনেও একইসঙ্গে অংশগ্রহণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ব্যাপারে মিত্র দলগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা ছাড়াও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেও গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ হিসেবে এটিকেই দেখছে তারা। এজন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতারা একমত হয়েছে বলে কয়েকজন নেতা জানান। তবে সেই নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অংশগ্রহণের শর্ত দিয়েছে তারা। সর্বশেষ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নতুন মডেলে কারচুপি ও জাল ভোটের পর এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে রাজপথের বিরোধী দল। এজন্য নির্দলীয় সরকার ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা দেখছেনা তারা। তবে সরকারও যে স্বাভাবিকভাবে তাদের দাবি মেনে নেবে না সেটিও দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে একমত তারা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলো আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এরপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয় আছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে। আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের নানা অন্যায়, অবিচার, নিষ্পেষণ-নিপীড়ন, ভোটাধিকার হরণ করার যে ধারা সেটাকে বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যাপক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। তবে তামাশার কোন নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না তার সর্বশেষ উদাহরণ খুলনা সিটি করপোরেশন। আর নির্বাচন কমিশন নামে যে একটি প্রতিষ্ঠান আছে সেটি তার দায়িত্ব ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহে পরিণত হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারের সমাধান হোক। অন্যত্থায় আন্দোলনের বিকল্প কিছু থাকবে না।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আইনি লড়াই চলছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও অব্যাহত রয়েছে। তবে সব সময় আন্দোলনের ধারা একইরকম থাকে না। আন্দোলনের ধাবাহিকতা আছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যদি সরকার দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে। নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, তার অধীনে আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
দলটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকার মিথ্যা মামলায় ম্যাডামকে কারাগারে পাঠানোর পর তার কারবাসকে দীর্ঘায়িত করতে আদালতের উপরও হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, সরকারের আচরণই বলে দেবে বিএনপি জনগণকে নিয়ে কি ধরণের আন্দোলনে নামবে। আন্দোলনের জন্য দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দেবেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি আদায় করা হবে। ####

 

 



 

Show all comments
  • মামুন ২৫ মে, ২০১৮, ২:৩৫ এএম says : 0
    বিএনপির জন্য আন্দোলন আর নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই
    Total Reply(0) Reply
  • জলিল ২৫ মে, ২০১৮, ২:৩৬ এএম says : 0
    আন্দোলন জোরদার করতে হবে। মুখে মুখে আন্দোলন করলে হবে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচনে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ