Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে ৩৬ বছরের ব্যক্তির সাথে ৯ বছরের শিশুর বিয়ে!

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহে ৩৬ বছরের যুবকের সাথে ৯ বছরের শিশুর এক আজব বিয়ে হয়েছে। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ায় প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে বাল্য বিয়েতে সহায়তার দায়ে ঝিনাইদহ নোটারি পাবলিকের আইনজীবী এড জাহাঙ্গীর কবির ও এড মীর আক্কাস আলীকে শোকজ করা হয়েছে। গত রোববার বয়স গোপন করে তারাই এই বিয়ে দিয়েছিলেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের মোশারফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাছুরা খাতুনকে বিয়ে দেওয়া হয় কোরাপাড়া গ্রামে জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে। শিশু মাছুরা খাতুন নতুন কোর্টপাড়ার ওমর আলীর মেয়ে। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর হোসেন কোরাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। সে পেশায় বাসের হেলপার। এদিকে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবীরের হস্তক্ষেপে ২য় শ্রেণির ছাত্রী মাছুরাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন। মাছুরার মা শাপলা খাতুন জানান, তার মেয়ের জন্ম তারিখ ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এতে তার বয়স হচ্ছে ৯ বছর। তিনি আরও জানান মেয়ে লেখা পড়ায় ভালো না। তাই বিয়ের কাবিন করে রেখেছিলাম। পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদেও মাছুরার বয়স ৯ বছর। তবে মেয়ের পিতা ওমর আলীর হলফনামায় মেয়ের বয়স ৮ বছরের কথা উল্লেখ আছে। বর জাহাঙ্গীরের বয়স নোটারী পাবলিকের শপথনামায় ২১ বছর উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে তার বয়স ৩৬ বছর। এই অসম বয়সের বিয়ে নিয়ে মেয়ের পিতা ওমর আলী জানান, আমি ৩ জন সাক্ষির উপস্থিতিতে এক হলফনামায় বিয়ে আইনসিদ্ধ না হওয়ায় ছেলে পক্ষের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বয়স গোপন করে নোটারী পাবলিক করায় জনমনে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সন্দেহ ও প্রশ্ন উঠেছে। কতিপয় আইনজীবী ও তাদের নিয়োজিত মহুরীরা এই অসৎ কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বড় অংকের টাকা নিয়ে তারা জাল জোচ্চুরিতে লিপ্ত হচ্ছে। শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তাদের ছাত্রী মাছুরার বিয়ে হয়ে গেছে বলে আমরাও শুনেছি। তবে এটা অন্যায় কাজ হয়েছে। তিনি জানান, মাছুরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন। কোন দিন সে স্কুল কামায় করতো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ