রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলতি মৌসুমে উৎপাদিত বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে মঠবাড়িয়ার কৃষকরা। বাজারে মূল্য কম, উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধি, সরকারি ক্রয় ক্ষমতা কম ও শর্তের বেড়াজাল এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে কৃষকরা উৎপাদিত বোরো ধান নিয়ে চিন্তিত।
জানা যায়, গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর উপজেলায় বোরো আবাদ বেশী হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে বাজার মূল্য বেশী থাকায় কৃষকরা ধার-দেনা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বোরো ধান আবাদ করেছে। প্রতি একর জমি আবাদে কৃষকের খরচ হয়েছে ২০/২২ হাজার টাকা। প্রতি একরে ধান উৎপাদন হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ শত কেজি। প্রতি কেজি ধানের বর্তমান বাজর মূল্য ১৬/১৭ টাকা। বাজার মূল্য অনুযায়ি এক একরে উৎপাদিত ১৬ শত ধানের মূল্য আসে ২৬/২৭ হাজার টাকা। ২৬/২৭ হাজার টাকা থেকে উৎপাদন খরচ ২০/২২ হাজার টাকা পরিশোধ করে কৃষকের মজুরির টাকাও থাকে না। তারপরে আছে এনজিওর ঋণের কিস্তি খড়গ।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে এবছ উপজেলায় ৮হাজার টন বোরো ধান উৎপন্ন হয়েছে। সরকার ক্রয় করবে মাত্র ৫০ টন। বাকী ধান কৃষককে পানির দামে বিক্রি করতে হবে। সরকার ২৬ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করলেও শর্তের বেড়াজালে ধান বিক্রি করতে পারছেনা কৃষকরা। শর্তের মধ্যে রয়েছে শতকরা ১৪ ভাগের বেশী আদ্রতা থাকতে পারবেনা এবং চিকন ধান ক্রয় করা হবে না। এদিকে বৃষ্টির কারনে ধান শুকাতে না পারা এবং চিকন ধান চাষ করা কৃষকরা দু’চোখে অন্ধকার দেখছে।
উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের কৃষক মোঃ শাহ আলম আকন(৫৫) জানান, বৃষ্টির কারনে শুকাতে না পেরে ৫০মন বোরো ধান বিক্রি করতে পারছেননা। তিনি সরকারী ক্রয় ক্ষমতা ৫০ টন থেকে বাড়াবার দাবী জানান। ছোট শৌলা গ্রামের মোঃ শাহাদাৎ গাজী(৩০) জানান, তার ৮০ মন ধান খাদ্য গুদামে নিয়ে বিক্রি করতে হলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তিনি স্থানীয় হাট-বাজারে সরকারী ক্রয় কেন্দ্র খুলে ধান ক্রয়ের দাবী জানান।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সঞ্জিব চাকমা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে যারা আগে আসবে তাদের ধান মান নির্ণয় করে ক্রয় করা হবে। ৫০ টনের পর আর ক্রয় করা হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান জানান, উৎপাদিত ধানের মান ঠিক রেখে যাতে সরকারী ক্রয় কেন্দ্রে দান বিক্রি করতে পারে সেজন্য কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।