Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এমএইচ১৭ ফ্লাইট রুশ সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৮, ৫:৪৫ পিএম

২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭-কে ভূপাতিত করতে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) তারা দাবি করেন ক্ষেপণাস্ত্রটি রুশ সেনাবাহিনীর ৫৩ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ব্রিগেডের।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার পথে ইউক্রেনে এমএইচ১৭ ফ্লাইটটি ভূপাতিত হয়। যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি ইউক্রেন সরকার ও দেশটির রুশপন্থী বিদ্রোহীদের মধ্যকার বিবাদপূর্ণ এলাকা। এ ঘটনার জন্য পূর্বাঞ্চলের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দায়ী করে থাকে ইউক্রেন সরকার ও পশ্চিমারা। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীই বিমানটি ভূপাতিত করেছে।

বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে ১৭টি দেশের নাগরিক ছিলেন। নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। সেকারণে এ ঘটনা তদন্তে নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্বে একটি যৌথ দল গঠন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া এবং ইউক্রেনের তদন্তকারীরা ওই যৌথ তদন্ত দলের অন্তর্ভুক্ত হন। তারা জানান, তদন্তের হালনাগাদকৃত তথ্য তারা দেবেন, তবে সন্দেহভাজনদের শনাক্তের কাজ তারা করবেন না।

২০১৬ সালে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, রাশিয়া নির্মিত বাক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (২৪ মে) তদন্তকারীরা জানান, ভিডিও চিত্রের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর। ডাচ ন্যাশনাল পুলিশের অপরাধ দমন শাখার প্রধান উইলবার্ট পাউলিসেন বলেন, বাক মিসাইলটি ৫৩ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল ব্রিগেডের, এটি রুশ শহর কুর্স্কে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে চলা তদন্তের মধ্যবর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে উইলবার্ট আরও বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী বহরে থাকা গাড়িগুলো রুশ সশস্ত্র বাহিনীর।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ