Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন ডিসির দুর্নীতি তদন্তে চিঠি

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : মাঠ প্রশাসনে টাঙ্গাইল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিরা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এ চিঠি দেয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, টাঙ্গাইল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের স্ব-স্ব জেলার স্থানীয় বাসিন্দাররা অভিযোগ দাখিল করেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের ডিসি খান মো. নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে পাট দিবসের অর্থ আত্মসাৎ এবং কুড়িগ্রামে বদলী ও নিয়োগের অর্থ আতœসাতে অভিযোগ করা হয়। চাঁপাই নবাবগঞ্জের ডিসি মো. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ওই জেলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মইনুদ্দীন মন্ডল অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে নোয়াখালীর ডিসি মো. মাহবুবুল আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। তিন ডিসি’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অনুরোধ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা শাখা। গত র্মাচ মাসে টাঙ্গাইলের আরমান নামে এক ব্যক্তি তার জেলার ডিসি খান মো. নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে পাট দিবসের চেক জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ৬ই মার্চ পাট দিবস পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সরকার জেলা প্রশাসক বরাবর ২৫ হাজার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১৫ হাজার টাকার চেক দেয়। কিন্তু টাঙ্গাইলের ডিসি ১১টি উপজেলার ইউএনও’র চেক আটকে দেন। এরপর ইউএনওদের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা নেন। ইউএনওদের চেকগুলো ডিসি’র নির্দেশে টাঙ্গাইলের মুখ্য পাট পরিদর্শক শহিদুল্লাহ ও উপ-সহকারী পাট পরিদর্শক রায়হান ডিসি অফিসের নাজির জয়নাল আবেদীনের মাধ্যমে ডিসির কাছে পৌঁছায়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নামে আসা ২৫ হাজার টাকার চেকটি নাজির জয়নাল আবেদীন নিজ নামে উত্তোলন করেন। আরমানের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০শে এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ (১) অধিশাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন-এর স্বাক্ষরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। এদিকে নোয়াখালীর ডিসি মো. মাহবুবুল আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিসি হিসেবে মাহবুবুল যোগদানের পর থেকে মাইজদী শহরের বিভিন্ন ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে সরকারি সম্পত্তি হরিলুটে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। মোটা অঙ্কের সুবিধার বিনিময়ে মাইজদী নিশাত প্লাজার উত্তর পাশে হেলাল, মানিক ও হায়দার ইলেকট্রিককে গণপূর্তের কোটি কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখলে সহযোগিতা করেছেন। চাঁপাই নবাবগঞ্জের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মইনুদ্দীন মন্ডলের ডিও লেটারে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জেলার ডিসি মো. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে টাঙ্গাইলের ডিসি খান মো. নূরুল আমিন ইনকিলাবকে জানান, আমি এ জেলায় আসার পরে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করতেছি সে খানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি করছি না আর সমান্য পাট দিবসের টাকা আতœসাত করেছি। অভিযোগটি সঠিক নয়। আর অভিযোগকারীকে খুজে পাওয়া যায়না।



 

Show all comments
  • মশিউর রহমান ২৪ মে, ২০১৮, ২:৫৬ এএম says : 0
    সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ