নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : দুই হাত মাথায় দিয়ে বিহŸল বসে আছেন, চোখে শূন্য দৃষ্টি। ওই ছবিটা আরও অনেক দিনই বেন স্টোকসের হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাবে। স্টোকসের শেষ ওভারে পরপর চারটি ছয় মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাফেট। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালটা ওভাবে হেরে যাওয়ার পর কেমন লেগেছিল স্টোকসের? ওই মুহূর্তে আসলে কী ভেবেছিলেন? দুঃস্বপ্নের পাঁচ দিন পর ডেইলি টেলিগ্রাফকে ওই রাতের কথা সবিস্তারে জানিয়েছেন স্টোকস। সেটা ইংলিশ অলরাউন্ডারের নিজের মুখেই শুনুন, ‘আমি ভেবেছিলাম, এই মাত্র আমি বিশ্বকাপটা হারিয়ে ফেললাম। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আরও অনেক সময় লেগেছিল পায়ের নিচের মাটি ফিরে পেতে। মনে হচ্ছিল, বুঝি আর দাঁড়াতে পারব না। ধরণি দ্বিধা হও- এই কথাই মনে হচ্ছিল। ভালো কিছুই মাথায় আসছিল না। একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া যেটাকে বলে।’
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে আবার রানার্সআপের পদক নিয়েছেন। ভেতরে এতটা ভেঙে পড়েছিলেন, সেটা অবশ্য বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছিল না। স্টোকসের ব্যাখ্যা, ‘ম্যাচের পর ৪০ মিনিট পর্যন্ত বুঝতে পারছিলাম না, আমার কী করা উচিত। মনে হচ্ছিলো যেন পুরো পৃথিবীটাই আমার উপর ভেঙে পড়েছে। আমাকে মাঠে ফিরে নিজের পদকটা নিতে হয়েছে। বক্তৃতা শুনতে হয়েছে। আমি জানতাম, সব ক্যামেরা আমার দিকে তাক করা। অবশ্যই আমি ভেঙে পড়েছিলাম, কিন্তু ক্যামেরায় সেটা দেখাতে চাইনি।’
ম্যাচের পরেই সতীর্থ ক্রিস জর্ডান ছুটে এসেছিলেন স্টোকসের দিকে। পরে বাকিরাও পাশে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগানও জানিয়েছিলেন, পুরো দল স্টোকসের সঙ্গেই আছে। স্টোকস নিজেও সেটা মনে রেখেছেন, ‘সবাই আমাকে বলছিল, এটা কিছু না। সব ঠিক হয়ে যাবে। ওরা এর চেয়ে বেশি আর কী-ই-বা বলতে পারত? কিন্তু আমার মন তো মানছিল না। ওই রাতে কেউ আর কোনো কথা বলছিল না। আমি ওই দিন ভালো করলেই বরং সবাই এর চেয়ে বেশি মজা করত।’
সেমিফাইনালে মরগানের আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলেন দলকে জিতিয়ে। ফাইনালে সেটা আর হলো না। অথচ স্টোকস বলছেন, সেমিফাইনালেই বেশি স্নায়ুচাপে ছিলেন, ‘আমি মরগানকে তখনই বলেছি, আমি আসলে ফাইনালের চেয়ে সেমিফাইনালেই বেশি স্নায়ুচাপে ছিলাম। হয়তো সেমিফাইনালে ভালো করার পরেই বেশি আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু ওই ওভারের পর সব ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।’
তবে স্টোকস জানেন, এখানেই শেষ নয়। পূর্বসূরি স্টুয়ার্ট ব্রড যেমন যুবরাজের কাছ থেকে পরপর ছয়টি ছক্কা খাওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। স্টোকসও তাই এই ওভারকেই নিচ্ছেন প্রেরণা হিসেবে, ‘এই ওভারটা আরও অনেক দিন আমার মনে থাকবে। আমাকে নিশ্চিত করতে হবে, এ রকম কিছু যাতে না হয়। আর খারাপ সময়ই তো আপনার আসল পরীক্ষা।’ সেই পরীক্ষায় স্টোকস একা নন, পাশে পাবেন পুরো ইংল্যান্ডকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।