Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আর্থিক সঙ্কটে থেকেও কিক বক্সার!

প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : চরম আর্থিক সঙ্কটের মাঝে থেকেও কিক বক্সিংকে আকড়ে ধরেছেন কিশোরগঞ্জের জান্নাত আরা বৃষ্টি। এই খেলাতে নিজেকে বিকশিত করতে চান তিনি। বাবা আহম্মদ হোসেন রাস্তার ধারে বসে পান-সিগারেট বিক্রি করেন। এতেই বুঝা যায় কি নিদারুণ অর্থ সঙ্কটে দিন কাটে তারা। চার বোন ও এক ভাইয়ের সংসারে সবার বড় বৃষ্টি। কিশোরগঞ্জের আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও কিক বক্সিং খেলছেন তিনি। অভাবের সংসার, তার উপর প্রতিবেশীদের নানা গুঞ্জন সত্তে¡ও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন বৃষ্টি।
সাধারণত কিক বক্সিং রিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস কিক বক্সিংয়ের খেলা হচ্ছে ম্যাটে। ফলে কিক মারতে গিয়েই ঘটছে বিপত্তি। কেউ পড়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ ঠিক মতো পাঞ্চ করতেও পারছেন না। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাশিয়ামের ম্যাটে শুরু হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। উদ্বোধন করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোর্শেদ আলম চৌধুরী। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিক বক্সিং রিংয়ের খেলা। কিন্তু আমরা মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামের রিং চেয়েও পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই ম্যাটে খেলাতে হচ্ছে। ফলে কারো পা মচকে যাচ্ছে, কেউ বা মাটিতে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রতিযোগিতায় খেলতে আসা কিশোরগঞ্জের জান্নাত আরা বৃষ্টি বলেন,‘খেলাটাকে ভালবাসি বলেই ফেডারেশন যেখানে খেলাবে সেখানেই খেলবো।’ নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘খুব কষ্টে আমাদের সংসার চলে। তারপরও আত্মরক্ষার জন্যই আমি কিক বক্সিং শিখেছি। খেলছি বলে প্রতিবেশীদের নানা কথা শুনতে হয়। কিন্তু প্রতিবেশীদের কথাতে দমে যায়নি আমি। খেলছি এবং খেলবো। আমার মা বলেছেন, পড়ালেখার পাশাপাশি তোকে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। সবার বড় তুই। ছোটদের পড়ালেখার দায়িত্ব তোর। তাদেরকে দেখতে হবে। সে জন্যই আমি পড়ালেখার পাশাপাশি খেলা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এই টুর্নামেন্টে আসার আগে বাংলাদেশ আনসার থেকে ভাতায় চাকরির আশ্বাস পেয়েছেন বৃষ্টি। এখন কেবল তাকিয়ে নিজের ইভেন্টের দিকে। স্বর্ণপদক জিতলেই জুটবে আনসারে তার দীর্ঘমেয়াদী চাকরি। সেই প্রত্যাশায় আজ ব্যান্টাম ইভেন্টে লড়বেন কিশোরগঞ্জের এই মেয়ে।
এবারের স্বাধীনতা দিবস কিক বক্সিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ ফেডারেশনের অর্থায়নে। এখানে খেলতে এসেছেন দেশের ১৮টি জেলার ১২০ জন পুরুষ ও মহিলা কিক বক্সাররা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আর্থিক সঙ্কটে থেকেও কিক বক্সার!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ