বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনায় কথিত বন্দুক যুদ্ধে আমজাদ হোসেন (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশের দাবী, নিহত আমজাদ হোসেন একজন মাদক ব্যবসায়ী। পরিবার ও স্বজনদের দাবী, সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী।
নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল জানান, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ গত সোমবার রাত ২টার দিকে নেত্রকোনা জেলা শহরের হোসেনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত আলী হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেনকে আটক করে। এ সময় পুলিশ তার বাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ৩শ পিস ইয়াবা ও ৫ শ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, খুন খারাবিসহ ১৩ মামলা রয়েছে। পরে আটককৃত আমজাদকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে জন্য সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বড়ওয়ারী এলাকায় গেলে পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুক যুদ্ধ হয়। বন্দুক যুদ্ধে আমজাদ গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পাইপ গান এবং ৫টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত আমজাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি আরো জানান, বন্ধুক যুদ্ধ চলাকালে মডেল থানার ওসি বোরহান উদ্দিনসহ ৫ জন পুলিশ আহত হয়। আহতদেরকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের আন্দোল সংগ্রামকে ব্যহত করতেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবু বলেন, সে পৌর ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। মামলা হামলা দিয়েও তার কণ্ঠ রুদ্ধ করতে না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আমজাদের মামা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনূল হক বলেন, আমার ভাগ্নে কোনো দিন একটি সিগারেটও খায়নি, মাদক ব্যবসা তো দূরের কথা। বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় অংশ নেয়ায় তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের স্তব্ধ করতেই তাকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ারুল হক বলেন, সর্বশেষ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায়ও সে আমার সাথে আসামী ছিল। যদি সে আসামী হয় বা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী বিচার করা যেতো। তিনি ক্রসফায়ারে ছাত্রদল কর্মীকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।