Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতা নিতে যাচ্ছেন নিকোলাস মাদুরো

অনলাইস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ৫:০৯ এএম

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থেকেও আরও ৬ বছরের জন্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নিকোলাস মাদুরো। বিরোধীরা তার ক্ষমতা গ্রহণকে একনায়কের অভিষেক হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। মাদুরো আবার ক্ষমতায় আসলে ভেনেজুয়েলঅ নতুন করে আরও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছেন।

প্রধান বিরোধী দলগুলো ভেনেজুয়েলার রবিবারের নির্বাচন বয়কট করেছে। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধী দুটি দলকে নির্বাচনের দাঁড়াতে বাধা দিয়েছেন মাদুরো। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো অনুগত থাকায় জনপ্রিয়তা না থাকা সত্ত্বেও ৫৫ বছর বয়সী মাদুরো নির্বাচনে জয় পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভেনেজুয়েলার ওপর নতুন করে তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোও এক ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

হুগো শ্যাভেজের আত্মস্বীকৃত ছেলে মাদুরো বলে থাকেন, তিনি সমাজতন্ত্র ধ্বংস করার ও ওপেকভুক্ত তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর সম্পদ লুট করার সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তবে বিরোধীদের দাবি, বামপন্থী এই নেতা ভেনেজুয়েলার এক সময়ের সমৃদ্ধ অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন ও নিষ্ঠুরভাবে ভিন্নমত দমন করেছেন।

মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক রাজ্য গভর্নর হেনরি ফালকন তার সর্বশেষ নির্বাচনি প্রচারণায় বলেছেন, ‘আমি ভেনেজুয়েলাকে একনায়ততন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত করবো’। তিনি আরও বলেন, ‘মাদুরো, আপনি এতই ক্ষতি করেছেন যে ভেনেজুয়েলানরা আপনাকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়’।

বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মনে করেন, ফালকনের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি নির্বাচন বর্জন না করে বিরোধীদের বিভক্ত করে ফেলেছেন। ভোটে জেতার মতো শক্তিগুলো বাইরে থাকায় মাদুরো তার মিত্রদের নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধী জোট জুয়ান পাবলো গুয়ানিপা এবারের ভোট বর্জন করেছে। জোটটি বলেছে, ‘এটা নির্বাচন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়াই মাদুরোকে ক্ষমতায় রাখার জন্য এসব একটা প্রহসন।’

নির্বাচনে মাদুরোর জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃতীয় প্রার্থী জাভিয়ে বারতুক্কি। নির্বাচনের প্রচারণাকালে তিনিও মাদুরোবিরোধী অনেক মানুষের সমর্থন পেতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে মাদুরোবিরোধী ভোট আরও বিভক্ত হয়ে গেছে। এতে লাভবান হয়েছেন মাদুরো।

রবিবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ভেনেজুয়েলানেরই তেমন কোনও আগ্রহ নেই। বরং তাদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তারা অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য মাদুরোর আর অকার্যকর বিভক্তির জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করছেন।


বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মনে করেন, ফালকনের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি নির্বাচন বর্জন না করে বিরোধীদের বিভক্ত করে ফেলেছেন। ভোটে জেতার মতো শক্তিগুলো বাইরে থাকায় মাদুরো তার মিত্রদের নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধী জোট জুয়ান পাবলো গুয়ানিপা এবারের ভোট বর্জন করেছে। জোটটি বলেছে, ‘এটা নির্বাচন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়াই মাদুরোকে ক্ষমতায় রাখার জন্য এসব একটা প্রহসন।’

নির্বাচনে মাদুরোর জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃতীয় প্রার্থী জাভিয়ে বারতুক্কি। নির্বাচনের প্রচারণাকালে তিনিও মাদুরোবিরোধী অনেক মানুষের সমর্থন পেতে সমর্থ হয়েছেন। ফলে মাদুরোবিরোধী ভোট আরও বিভক্ত হয়ে গেছে। এতে লাভবান হয়েছেন মাদুরো।

রবিবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক ভেনেজুয়েলানেরই তেমন কোনও আগ্রহ নেই। বরং তাদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তারা অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য মাদুরোর আর অকার্যকর বিভক্তির জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করছেন।


ভেনেজুয়েলার সেন্ট্রাল বারকুইসমেতো শহরের বাসিন্দা ও ব্যাংক কর্মচারী জনি কাস্ত্রো বলেন, ‘আমি ভোট দিচ্ছি না। কেউ রাজনীতিকদের বিশ্বাস করেন না। সরকার ও বিরোধী দল কোনও পক্ষই কাজের না’। তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ক্ষ্যান্ত দিয়েছে। আপনি প্রকাশ্যে নির্বাচনের প্রচারণাও খুব একটা দেখতে পাবেন না। আমি আমার সহকর্মী ও বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেছি। তাদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিন থেকে চার জনই ভোট দেবেন না’।

পাঁচ বছর ধরে চলা মন্দাভাব, তেলের উৎপাদন কমে যাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন ঋণ না পাওয়ায় ভেনেজুয়েলায় অপুষ্টি, ক্ষুধা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বাড়ছে। এসব থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ কাজের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। আর নির্বাচনি প্রচারণায় মাদুরো বলেছেন, আমাকে জয়ী করা হলে অর্থনৈতিক যুদ্ধকে হারাবো। এসব প্রচারণায় তিনি দেশের দূরাবস্থার জন্য বিরোধীদের দায়ী করলেও কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেননি।

এবারের নির্বাচনের প্রচারণা সমাবেশগুলোতেও আগের নির্বাচনগুলোর মতো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়া নির্বাচনের পরিবেশও সবচেয়ে নিষ্প্রভ ছিল। নির্বাচনের দিন বর্জনকারী দলগুলো ব্যাপক প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সরকার দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্রগুলোতে তিন লাখ সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করেছে। রবিবার মধ্যরাতেই নির্বাচনের ফলাফলা জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ