মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ না করলে লিবিয়ার মতো করে উত্তর কোরিয়াকে শেষ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করলে কিম জং উনকে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। আর এতে সম্মত না হলে লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির মতো শেষ করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের ভাবনার বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পিয়ংইয়ংয়ের ‘অ-পারমাণবিকীকরণের’ ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণ করা হবে না জানিয়ে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে আশ্বস্তও করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুরে আগামী মাসে যথাসময়েই কিমের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবেÑ এমন আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। খবরে বলা হয়, ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বসার বিষয়ে এখনো আশাবাদী ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, নির্ধারিত বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে উত্তর কোরিয়া সুরক্ষা পাবে। যা হবে খুবই শক্তিশালী। কিম তার দেশেই অবস্থান করবেন। দেশও চালাবেন তিনি। তার দেশ অনেক ধনী হবে। কিন্তু বৈঠক যদি কোন কারণে বানচাল হয়ে যায়, তাহলে কিমকে লিবিয়ার মোয়াম্মার গাদ্দাফির মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে। যিনি বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারিয়ে নৃশংস হত্যাকাÐের শিকার হয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, লিবিয়ার পরিণতি দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের সঙ্গে সমঝোতা না করলে কি ঘটে। ট্রাম্প-কিম বৈঠক বাতিলের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সা¤প্রতিক হুমকির প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে পিয়ংইয়ং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার দাবিতে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত কোন বৈঠকে তাদের কোন আগ্রহ নেই। অবস্থার পরিবর্তন না হলে তারা বৈঠকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপকে কিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা হবে সে বিষয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট জন বোল্টন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য লিবিয়াকে অনুসরণ করার আহবান জানান। কিন্তু বোল্টনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রস্তাব খুবই হাস্যকর। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়া পারমাণবিক কার্যক্রম ও রাসায়ণিক অস্ত্র ত্যাগ করে। বিনিময়ে তাদেরকে অবরোধ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। আল-জাজিরা,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।