Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে এলে কিম ক্ষমতায় থাকতে পারবেন -ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১০:১৭ এএম | আপডেট : ২:১৮ পিএম, ১৮ মে, ২০১৮

উত্তর কোরিয়া পরমানু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হলে কিম জং উন অবশ্যই ক্ষমতায় থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘বৈঠক সফল হলে উত্তর কোরিয়া অনেক শক্তিশালী সমর্থন পাবে।’ তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ না মানলে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মতো অবস্থা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি পরমাণু অস্ত্র প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলেও তিন বছর পর পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে মৃত্যু হয় তার।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কিমকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে এলে উত্তর কোরিয়ার নেতা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, আর যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন তবে উত্তর কোরিয়াকে ভেঙে দেওয়া হবে।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন বল্টন এমন একটি পরামর্শ দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে উত্তর কোরিয়া। তবে ট্রাম্প জানান, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রও কোরিয়ার চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার জেরে দক্ষিণের সঙ্গে বুধবারের শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপ স্থগিত করে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলেছে এই সামরিক মহড়া বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপের উষ্ণ সম্পর্কের জন্য হুমকি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র খবরে আগামী মাসে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক পরিকল্পনা মতো হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এই বৈঠক হওয়ার কথা।

ট্রাম্প বলেছেন, কিম জং তার দেশেই থাকবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। তার দেশ অনেক ধণী হবে। তবে যদি শর্ত না মানে তবে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মতোই পরিণতি হবে তার। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে আমাদের সঙ্গে সমঝোতায় না আসলে পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে।’



 

Show all comments
  • ash ১৮ মে, ২০১৮, ২:৩৩ পিএম says : 0
    HE JUST TRY TO MAKE HIM LIKE SUDDAM
    Total Reply(0) Reply
  • ASH ১৮ মে, ২০১৮, ৩:০৯ পিএম says : 0
    WHY CHINA @ RUSSA TOGETHER MAKE SANCTION AGAINST USA ??? WHY USA HAVE RIGHT TO MAKE SENCTION AGAINST OTHER COUNTRY ???
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১৮ মে, ২০১৮, ৪:৪৯ পিএম says : 0
    I think Libya and Nkorea not in same statas !! most muslim ledars have big mouth but nothing in side but N KOREA not the same !! even they can be blow off usa
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ