দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
পরম করুণাময় দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। অসংখ্য অগণিত দুরুদ ও সালাম মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা., তার আহলে বাইত ও সাহাবায়ে কেরাম এর প্রতি। সালাম ও শ্রদ্ধা যুগে যুগে তার অনুসারী পীর-মাশায়েখ, আলেম-উলামা ও নেক বান্দাদের প্রতি। আমরা সবাই জানি ইসলাম শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ দেখায়।
মহান আল্লাহ মানুষকে দোয়া করতে বলেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি চাইতে বলেছেন। ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া কিনা আযাবান্নার।’ হে আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়ায় সুখ-সমৃদ্ধি দান করুন, আখেরাতেও মুক্তি ও শান্তি দান করুন এবং আমাদেরকে নাজাত দিন জাহান্নামের আগুন থেকে। একথা প্রমাণিত যে ইসলাম পৃথিবীতে চরম অশান্তির সময় শান্তি এনেছে। মানবজাতির জীবনে সমৃদ্ধি এনেছে। ন্যায় বিচার ও সুশাসন ইসলামের গর্ব। মানবতার কল্যান ইসলামের মূলনীতি। মানব সভ্যতাকে ইসলাম যতটুকু সমৃদ্ধ করেছে, এরচেয়ে বেশী আর কেউ কোনোদিন করতে পারেনি। বর্তমানে শত্রæদের অপপ্রচার ও কিছু অবুঝ মানুষের মুর্খ আচরণ বিশ্বের সামনে ইসলামের রূপকে কলুষিত করছে। এর জবাব আমাদের দিতে হবে। ইসলামের শান্তিপূর্ণ ও অতুলনীয় শিক্ষাকে বিশ্ব সমাজের সামনে তুলে ধরার বিকল্প নেই। নতুন প্রজন্মের মনস্তত্ত¡ অনুযায়ী যুগের ভাষায় ইসলামের মূলরূপটি তুলে ধরা এখন সময়ের দাবী। দেশ ও জনগণের প্রতি নিবেদিত এবং আল্লাহর দীন, মহানবী সা. এর সুন্নাহ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি প্রতিশ্রæতিবদ্ধ, বাংলা ভাষী ৩০ কোটি মানুষের সম্পদ ঐতিহ্যবাহী ‘দৈনিক ইনকিলাব’ ১৪৩৯ হিজরীর ১ রমজান থেকে (মোতাবেক ১৮ মে ২০১৮) ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম’ নামে একটি কলাম চালু করছে। এতে ইসলামের সামগ্রিক শিক্ষা ও আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মূল্যায়ন ও বিশ্লেষন, দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট স্কলাররা পরিবেশন করবেন ইনশাআল্লাহ। আশা রাখি প্রতিদিন ‘ইনকিলাব’ এর মুদ্রিত ও অনলাইন সংস্করণে নিয়মিত এ কলামটি থাকবে। নিয়মিত লিখবেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও ইসলামী পÐিত মাওলানা মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, বিশিষ্ট গবেষক মাওলানা এ.কে.এম ফজলুর রহমান মুনশী, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় অতিথি লেখক ও কলামিষ্টগণ। সম্পাদকীয় বিভাগের পক্ষে প্রকাশনার সমন্বয় করবেন মুনশী আবদুল মাননান। কোরআন সুন্নাহর স্বাভাবিক রূপটি যেন বর্তমান বিশ্বের মানুষ দেখতে পায়। যেন সাহাবী, তাবেয়ী ও প্রথম যুগের ধর্মীয় মুরব্বীদের কাজের ছোঁয়া মানুষ পায়। যেন মুসলিম প্রচারক ও পÐিতদের অবদানের পরিচয় মানুষ জানতে পারে। যেন মুসলিম বিজয়ী ও শাসকদের সুশাসন, ন্যায়বিচার, আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের চর্চা মানুষের মননে আবার প্রাণ ফিরে পায়। পীর-আউলিয়াদের উদার মানবিক ও আত্মিক কর্ম তৎপরতা যেভাবে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত পৃথিবীকে শান্তি ও সমৃদ্ধির ঠিকানায় নিয়ে গিয়েছিল, পূণরায় যেন শান্তিকামী মানুষ সে নেয়ামত লাভে ধন্য হয়। ইসলাম শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ এ কথাটি আমাদের সোনালী অতীতের আলোকে আবার তুলে ধরাই এ প্রয়াসের উদ্দেশ্য। নতুন প্রজন্ম যেন ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জানতে পারে, এ চেষ্টার পাশাপাশি পাঠকের অনেক জিজ্ঞাসা ও ভুল বোঝাবুঝির অবসান এ উদ্যোগ থেকে হবে বলে আমরা আশাবাদী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।