পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ১৭৬৯০২। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০৮৯৫৬ ভোট। এছাড়া ৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। খুলনা সিটিতে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হয়। নির্বাচনে খুলনা নগরীর ২৮৯ ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। জাল ভোটের কারণে ৩টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হলেও দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক ভাবে ইভিএম-এ ভোট নেয়া হয়। নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রতিদ্ব›দ্বী দুই প্রার্থী নৌকার তালুকদার আবদুল খালেক ও ধানের শীষের নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়াও জাতীয় পার্টি মনোনীত শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মোঃ মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্¦িতা করেন।
এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। বিএনপি অভিযোগ করেছে অন্তত ৪০টি কেন্দ্র দখল করে নৌকার পক্ষে ভোট দেয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে পুলিং এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়া, কোনো কোনো কেন্দ্রে থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, মারধর, ভোটারদের ভোট আগেই দেয়া ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ করেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি কয়েকটি কেন্দ্রে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি জানান। অন্যদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বিএনপির পক্ষ থেকে ‘দিনভর ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তোলা হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনে ভরাডুবি জেনে বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করছে। দিনভর কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ এলেও নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে দু’চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেয়ার পরিবেশ নিয়ে ইসি খুশি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভোট কেন্দ্র দখল, বিএনপির ক্যাম্পিং অফিস ভাংচুর, কর্মীদের মারধর, ব্যাপক হারে জাল ভোট প্রদান, বিএনপি’র পুলিং এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয়াসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় কেসিসি ভোটগ্রহন। জাল ভোটের দায়ে স্থগিত করা হয় ৩টি ভোট কেন্দ্র। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি’র সমর্থকদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা প্রদান করা হয়। দুপুরের পরে শুরু হয় জাল ভোটের মহোৎসব। আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী ছিল নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। নগরপিতা বেছে নিতে খুলনার মানুষ ভোটের দিন যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রত্যাশা করেছিল আমজনতার সে স্বপ্ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
জানা যায়, জালভোট দেওয়ার পর খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডে দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এর আগে একই ঘটনায় ২৪নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং ২২নং ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গতকাল বেলা ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন।
জালভোট দেওয়ার অভিযোগে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধ ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউল হক। আরও অন্তত ৫টি কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর ও গোলযোগের ঘটনা ঘটে। খুলনার ২৪নং ওয়ার্ডের ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টদের বের করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সকাল ৮টায় ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে এ সিটি করপোরেশনের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যালট পেপার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
লাইনে অপেক্ষায় থাকা এক ভোটার বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে ব্যালট পেপার নেই। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। দেখি কতক্ষণ লাগে! ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষের লোকজন ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা।
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভোটগ্রহণ বন্ধ কেন জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার খলিলুর রহমান বলেন, ব্যালট পেপার দিতে দেরি হচ্ছে। এখন দিচ্ছি। তিন ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোট বাক্সে পড়েছে বলে ধারণা দিলেও তখন পর্যন্ত ব্যালটের কয়টি মুড়ি শেষ হয়েছে- সে প্রশ্নে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি প্রিজাইডিং অফিসার।
কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে ব্যালট নেই। প্রিজাইডিং অফিসার সরবরাহ করলে দেব। ভেতরে যখন এই পরিস্থিতি, কেন্দ্রের বাইরে তখন বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুরও করা হয়।
এ ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শমসের আলী মিন্টু বলেন, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে এই ভাঙচুর হয়। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। বিজিবিও দেখা গেছে, তারা কিছু করেনি।
এ বিষয়ে খুলনার সহকারী পুলিশ কমিশনার আল বেরুনী বলেন, ‘আমরা খোঁজ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ জালভোটের অভিযোগ ওঠার ঘণ্টাখানেক পর প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষ বন্ধ পাওয়ায় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের বাকবিতÐা হয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের ভেতরে বিএনপির কর্মীরা হট্টগোল করে। কাছেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। গতকাল সকাল ১১টার দিকে সোনাপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির নির্বচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় যুবদল নেতা আবুল বাশার ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা অ্যাডেভোকেট আক্তার জাহান রুকু অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকিরের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন এসে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে চেয়ার ভাঙচুর করে এবং কর্মীদের গালাগাল করে।
দরুল উলুম মাদ্রাসার সামনে, আব্দুল গণি বিদ্যালয় কেন্দ্রের কাছে এবং নিরালা আবাসিক এলাকায় আরও কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি প্রার্থীর ক্যাম্পে ক্ষমতাসীনরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাশার।
খুলনা সিটি নির্বাচনে ইসির পর্যবেক্ষক দলের প্রধান সমন্বয়কারী ইসির যুগ্ম সচিব আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমি অন্তত ২০টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে কেউ অভিযোগ স্বীকার করছে না। কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার তথ্য গণমাধ্যম ও নানা সোর্সে পাচ্ছি। যেখানেই অভিযোগ পাচ্ছি, ছুটে যাচ্ছি।’ ভোটের তিন ঘণ্টার পরিস্থিতি জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ভোটার উপস্থিতি রয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা উল্লেখযোগ্য কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ এখনও দেখেননি।
দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে বলে মন্তব্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, ‘৫/৬টি কেন্দ্রের অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি। ১১২, ১১৩, ১১৫ নম্বর কেন্দ্রে এবং অন্য কেন্দ্রেও লোক পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে সে সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে।’
২৬ ওয়ার্ডের বানিয়াখামার কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০নং ওয়ার্ডের রূপসা স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট সেলিম কাজীকে মারধর করা হয়। এছাড়া নগরীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩১নং ওয়ার্ডের হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সামনের নির্বাচনী ক্যাম্পও ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মহানগরীর জিলা স্কুল কেন্দ্রে আলী আকবরকে মারধর করে আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিকুর সমর্থকরা। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুব কায়সার বলেন, আমার এজেন্ড আলী আকবর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে জিলা স্কুল কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিকুর লোকজন তাকে মারধর করে। কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। তাকে উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, ২২নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিকুর ছোট ভাই কাজী বেলায়েত হোসেন নতুন বাজার হাজী আবু হানিফ কেরাতুল কুরআন নূরানী মাদরাসা কেন্দ্রে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেননি। খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রের ৮টি বুথেও ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ধানের শীষের কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেননি। তবে, এ কেন্দ্রের ৬নং বুথে ধানের শীষের এজেন্ট সিরাজুল ইসলাম লিটন মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় কেন্দ্রে ঢুকতে সক্ষম হন।
লিটন অভিযোগ করেন, তিনি সকাল সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করলে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাকে বাধা দেয়। এ কারণে তিনি ঢুকতে পারেননি।
অপরদিকে, খালিশপুর ১১নং ওয়ার্ডের জামিয়াহ ত্বৈয়্যেবাহ নূরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসা কেন্দ্র থেকে সহোদর সিরাজকে কুপিয়ে এবং আলমকে মারধর করা হয়। তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া এ ওয়ার্ডে জামিয়া ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম বয়স্ক মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী জামান মোল্লা জেলিনের এজেন্ট আসাদ ও হাবিবকে সকালেই কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।
খুলনার ভোটকেন্দ্র আ’লীগের দখলে নেওয়ার অভিযোগ
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে রাখে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এমন অভিযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। গতকাল মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র দখল করে রাখে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের হাতে কালি দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা নিজেরাই সিল মেরে দিয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে হাজার হাজার ভোটাররা গিয়ে দেখেছেন তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে।
ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বললেন খালেক
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে জালভোট দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, নগরীর সবকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতিও আশাতীত ছিল। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো খুলনা মহানগরী। টহলে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাঠে ছিল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।