Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল কেসিসি নির্বাচন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত খুলনা

| প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আবু হেনা মুক্তি : খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে বহিরাগতদের গত শনিবার রাত ১২টার মধ্যে সিটি এলাকার ত্যাগ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ লক্ষে গতকাল থেকে মাঠে নেমেছে বিজিবি। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটেলিয়ান, আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি থাকছে র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম এবং ৪টি স্টাইকিং ফোর্স। একই সাথে নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষে গতকাল সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা কেন্দ্র ভিত্তিক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে দায়িত্বে রয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহলসহ নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। বিষয়টি বিজিবি খুলনা সেক্টরের টুআইসি মেজর হান্নান খান নিশ্চিত করেছেন। মেজর হান্নান খান জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ১৬ প্লাটুন অর্থাৎ ৬৪০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা টহল ও স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সতর্ক নজর রাখছেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্র্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল খুলনায় এসেছে। এসব মালামাল বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এই নির্বাচনে ১ হাজার ৮১০টি ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হবে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের এসব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, গতকাল রবিবার বিকেল থেকে ২২ সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক টিম দায়িত্ব পালন করছে। তারা নির্বাচনের সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সাথে গত শনিবার থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এরপর কোনো প্রার্থী আর প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। এছাড়া শনিবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের সিটি থেকে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ২টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এ দু’টি কেন্দ্রে আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম’র মাধ্যমে মক ভোটিং কার্যক্রম। এছাড়া তিনটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ৪ হাজার ৯৭২ জন। এ নির্বাচনে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্র। এর মধ্যে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ দুটি কেন্দ্রের ১০টি বুথে ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দুই হাজার ৯৭৮ ভোটার। খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের দিন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, এপিপিএনের প্রায় ১০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। র‌্যাব-৬’র অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনে র‌্যাবের ৩২টি টিম দায়িত্ব পালন করবে। যার প্রতিটি টিমে ৮জন সদস্য থাকবে। এছাড়া ৪টি স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। এ টিমে ১০ জন করে থাকবে।
এদিকে, আ’লীগের কর্মীরা রয়েছে গোটা ভোট নির্বাচনীর মাঠে। উৎসবমুখর পরিবেশ তারা ক্যাম্পিং করছে। আর পুলিশের লাগাতার অভিযানে বিএনপি’র কর্মীরা নির্বাচনী মাঠে ছত্রভঙ্গ। গত ৩ দিনের পুলিশী অভিযানে সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় নির্বাচনী এজেন্টরা চরম আতংকিত। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশংকা প্রকাশ করেছেন। গেল রাতে ৩১টি ওয়ার্ডে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশিতে তটস্থ হয়ে পড়েছে তারা। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের দু’টি গ্রæপ এক সঙ্গে কাজ করছে। একটি শেখ পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মী আর একটি পুলিশ বাহিনী। নির্বাচনী মাঠে ডিফেন্স হিসেবে কাজ করছে পুলিশ বাহিনী আর ষ্ট্রাইকার হিসেবে রয়েছে শেখ পরিবার ও তারকা নেতাকর্মীরা। আর রেফারীর নিরব ভূমিকায় রয়েছে ইলেকশন কমিশন। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজয় ছিনিয়ে নিতে। তবে ২০১৩ সালের কেসিসির নির্বাচনের মত করেই জনগন তাদের ফলাফল দিবে ব্যালটের মাধ্যমে। শেষ ভোট চাওয়ার জন্য প্রত্যেক প্রার্থী নগরীর অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন পাগলা ঘোড়ার মত। সেই মাহেন্দ্রক্ষন ঘনিয়ে আসায় বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আর চরম উত্তেজনা। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সময় এখন ঘন্টায়। ফুরিয়ে যাচ্ছে সকল মূহুর্ত। এখনও বাকি রয়ে গেল অনেকের দুয়ারে যেতে। গতকাল ভোট ও দোয়া দুইই চাইতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সব প্রার্থীরা। কতটা বিনয়ী আর ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দেয়া যায়, সেটাও সকলে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তাইতো সকলেই ব্যস্ত ছিল শেষ ভোট চাইতে।
এই নির্বাচনকে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেদের মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বিএনপি সমর্থিত নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তবে নগরীর ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটাররা চুল চেরা বিশ্লেষন করছে আগামী ৫ বছরের খুলনা নগরীর উন্নয়ন, সঙ্কট ও সম্ভাবনা নিয়ে। এই প্রেক্ষাপটে নগরবাসীর ভাবনা পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন। গণমানুষের রায়ের ওপর নির্ভর করছে কে হবে আগামী ৫ বছরের জন্য কেসিসি’র নগরপিতা। আগামীকাল মঙ্গলবার নগরবাসী রায় দেবে নগর পিতা নির্বাচনের। আর এর স্বীকৃতি মিলবে গভীর রাতে বিজয়ের শ্লোগানের মধ্য দিয়ে। এদিকে এবার কে হবেন নগর পিতা, কার অবস্থান কেমন, কে হলে ভাল হয়? এমন জল্পনা-কল্পনায় সরব হয়ে উঠেছে গোটা খুলনা মহানগরী। আলোচনায় উঠে এসেছে কেসিসি’র আসন্ন নির্বচনী ফলাফল এ অঞ্চলের রাজনীতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নগরীর ভোটাররা দুটি শিবিরে বিভক্ত। একদিকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সমাজ পরিবর্তনে বিশ্বাসীরা আর তার বিপরীত মেরুতে রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসীরা। গেলবারের নির্বাচনেও এ দুটি শিবিরের মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়।
সরকারি বিএল কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী শিউলি আক্তার তুলি জানান, এবারই প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন। কেমন প্রার্থীকে ভোট দিবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, তরুণ প্রজন্মের জন্য আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন দরকার। আর এ কাজে যিনি এগিয়ে আসবেন, তরুণদের অগ্রাধিকার দেবেন তাকেই তিনি ভোট দেবেন। এছাড়া সৎ যোগ্য, কর্মঠ এবং যিনি বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবেন এমন ব্যক্তিকে ভোট দেব। তিনি বলেন, আমার ভোটে একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, তাই কারও কথায় নয়, আমার ভোট একটু ভেবেচিন্তেই দেব। এমন ভাবনা শুধু শিক্ষার্থী শিউলী আক্তার তুলি’র নয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এলাকার প্রায় অর্ধলাখ ভোটারের ভাবনা একই রকম। এবারের নির্বাচনে এই প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন প্রায় অর্ধলাখ নতুন ভোটার। কেসিসি’র কাল ১৫ মে নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের এই ভোটাররা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ জনেরা।
৯নং ওয়ার্ডের ভোটার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি মুক্ত নগর পিতা তার প্রত্যাশা। ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসীকে তিনি নগর পিতা নির্বাচিত করবেন। আমি দল দেখে নয় ব্যক্তি হিসেবে যে আমাদের নগরের উন্নয়নের বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে তাকেই ভোট দিতে চাই।
কেসিসি’র নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই নতুন ভোটার, এমন দাবি রাজনৈতিক বিশেষকদের। তাই প্রার্থীরা নতুন ভোটারদের কাছে টানতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছেন। প্রার্থীরা তরুণদের জন্য বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, বিনোদন, শিক্ষা ও মাদকমুক্ত আধুনিক খুলনা গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, কেসিসি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অপচেষ্টা প্রতিরোধে নগরবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। সরকারী দল কোন প্রকার জালিয়াতির মাধ্যমে যাতে ফলাফল পাল্টাতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। একই সাথে বীর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আধুনিক খুলনা গড়ার অঙ্গীকারের আন্দোলনে শামিল হতে হবে।
সূত্রমতে, পীর খানজাহান আলী (রা) সেতু থেকে কেবল শিল্প ফ্যাক্টরীর বাঁক পর্যন্ত রূপসা ও ভৈরব নদের কোলে লালিত খুলনা এখন উত্তাল। ৪৫ কিলোমিটার পরিধির নগরীতে নির্বাচনী জোয়ার ভাটা বইছে। ৩১টি ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা নগরীর পরিধি। নগর জীবনযাপনের সুবিধার্থে এখানে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসেস জরুরী। জলাবদ্ধতা দূরিকরণ, সেনিটেশন, আবর্জনা পরিষ্কার, স্ট্রিট লাইট স্থাপন, হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ এবং যানবাহন ও ব্যবসায়ীক লাইসেন্স প্রদানে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসের আওতাভুক্ত। বছর জুড়ে এ সুবিধা ভোগ করে ৭ লাখ নগরবাসী।
উল্লেখ্য, কেসিসি’র ১৯৮৮ সালের ২৩ আগস্ট প্রথম মেয়র হিসেবে মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পান কাজী আমিনুল হক। তিনি দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বিভাগীয় কমিশনরার দায়িত্ব পালন করেন এক বছর। পরে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতা শেখ তৈয়বুর রহমান তিন মেয়াদে নগরপিতা ছিলেন। মোট ১৬ বছর বিএনপির এ নেতা মেয়র ছিলেন। ২০০৭ সালে মেয়রের দায়িত্ব পান বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনি। আর বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সপ্তম নগর পিতা হন আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আবদুল খালেক। এরপর ২০১৩ সালে পুনরায় বিজীয় হয়ে দায়িত্ব পান বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ