Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটা কখনো চিরন্তন ব্যবস্থা হতে পারে না- ড. আকবর আলী খান

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র বিতর্ক অনুষ্ঠান

| প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: বাংলাদেশে বর্তমানে যে কোটা ব্যবস্থা আছে তা অত্যন্ত দুর্বল। কোটা হলো কোন লক্ষ্য অর্জনের ব্যবস্থা মাত্র। কোটা কখনো চিরন্তন ব্যবস্থা হতে পারে না। প্রতিবন্ধীদের জন্য যে ১ শতাংশ কোটা আছে তাও বাধ্যতামূলক নয়। দেশে ১০ শতাংম লোক প্রতিবন্ধী। এই বিবেচনায় তাদের জন্য সরকারি চাকুরীর কোটা ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা উচিত। গত শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘যুক্তি আলোয় দেখি’ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। টেকসই উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ শীর্ষক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় বিজয়ী হয়। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেবে দেখা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে এক কোটির বেশি প্রতিবন্ধী রয়েছে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৩ লাখ। টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে পিছিয়ে পড়া এই প্রতিবন্ধীদের জাতীয় উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মকাÐে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানে বিশেষ ব্যবস্থা করা জরুরি। সিভিল সার্ভিসে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংম কোটা ও নন ক্যাডার সার্ভিসে ৩ শতাংম কোটার কথা উল্লেখ করা হলেও এগুলো মূলত সাব-কোটা। বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিবার গড়ে ২ হাজার প্রার্থী ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে এ পর্যন্ত শুধু ৫-৬ জন দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী প্রার্থী ক্যাডার সার্ভিসে চাকুরির সুযোগ পেয়েছে। তাহলে প্রতিবন্ধীদের জন্যে যে ১ শতাংশ কোটার কথা বলা হয় সেটা কোথায়? মূলত কোটা পদ্ধতিতে মেধায় ৪৫ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগের কথা উল্লেখপূর্বক এই কোটা থেকে প্রার্থী পাওয়া না গেলে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ১ শতাংম সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে কারণেই সরকারি কোটা সংস্কার নিয়ে যেহেতু সর্বমহলে আলোচনা হচ্ছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় সরকারি চাকুরিতে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত প্রতিবন্ধী ও নৃগোষ্ঠীর জন্য বিশেষব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কোটা সংস্কার বিষয়ে যে কমিটি গঠিত হচ্ছে সেই কমিটি যেনো সমস্ত ধরনের সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, সাংবাদিক জাহিদ রহমান, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন এবং মু. শাহ আলম চৌধুরী। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ছবিঃ বিতর্ক (ক্যাপশন: ছায়া সংসদের বিজয়ী দলকে ক্রেস্ট প্রদান করছেন সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ