বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোনোভাবেই কমছে না, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে সৃষ্ট যানজট। আজ রবিবারও চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। অসুস্থ রোগীসহ বিদেশগামী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তি। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে কাঁচামাল।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল আউয়াল জানান, ‘ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নির্মাণ কাজ চলায় যানজট দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে পুরো ১ কিলোমিটার রাস্তা। পাশাপাশি চার লেনের গাড়িগুলো চলছে এক লেনে। ফলে যানজট লাঘব করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও মহাসড়কে যানজটমুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।’
‘আগামী ১৫ মে রেল ওভারপাসের একটি অংশ চালু করে হবে। আর সেটি হলে যানজটের বিড়ম্বনা আর থাকবে না। পুরাতন ট্রাংক রোডের বিকল্প রাস্তাটিও চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। এতে পরিবহনগুলোর যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি যানজট লাঘব হবে’ বলেও জানান তিনি।
চালকদের অভিযোগ, পুলিশের অতিরিক্ত হয়রানির কারণে বাড়তি দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে আবদুল আউয়াল নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক জানান, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে পুলিশের সঙ্গে প্রতি জায়গায় হাত মেলাতে হয়। এতে করে এক হাজার থেকে ১৫ শ টাকা পুলিশকে দিতে হয়।’
ফতেহপুরে রেলওভার পাসের আল আমিন কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মীর্জা মহিউদ্দিন জানান, আগামী ১৫ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচলের জন্য চালু করা হবে রেলওভারপাসের একটি অংশ। এ ছাড়া রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে চালু করা হচ্ছে এটা। ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে দিনরাত চলছে রেল ওভারপাসটির নির্মাণ কাজ। এটি চালু হলে মহাসড়কে যানজট নিরসনে কিছুটা ভূমিকা রাখবে।তিনি আরও জানান, ঢাকামুখী গাড়িগুলো সরাসরি চলে যাবে ওভারপাসের উপর দিয়ে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মুখী যানগুলো আপাতত নিচ দিয়ে যাতায়াত করবে। আর চলতি বছরের আগস্টে ওভারপাসটি পুরোদমে মুক্ত করা হবে যানচলাচলের জন্য।
পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, দুপাশ চালু ছাড়া সুফল পাওয়া যাবে না সহজেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফেনীর ফতেহপুরে রেলওভার পাস নির্মাণের কারণে প্রতিদিনই যানজটে যাত্রী ও চালকদের পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, দীর্ঘসময়ের এই যানজট নিরসনে বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনের তত্ত্বাবধানে আল আমিন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলওভার পাস নির্মাণের কাজ দেয়। আর ৮৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২২ মিটার প্রস্থের ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন বছর আগে শুরু হলেও প্রথম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিপু বিপিএল নানা জটিলতায় কাজ শেষ না করেই ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে দায়িত্ব পায় সেনাবাহিনী। এরপর দ্রুত গতিতে চলে কাজ। ফলে দীর্ঘ সময়ের অসহনীয় যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে চলাচলকারী লাখো যাত্রীসহ পণ্যবাহী গাড়িগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।