Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আর নয় কালক্ষেপণ দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৮, ১:১৫ পিএম | আপডেট : ২:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০১৮

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে টানা ৫ দিন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের পর এবার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার (১৩ মে) সকাল থেকে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে হাজারও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি মিছিল মধুর ক্যান্টিন, ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টি, বিজয় একাত্তর হল, বসুনিয়া, ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার হয়ে কার্জন হলের দিকে যায়।

ঢাবির বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বাযক রাশেদ খান, নূরুল হক নূর।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘আর নয় কালক্ষেপন, দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘শেখ হাসিনার ঘোষণা, বাস্তবায়ন করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

এছাড়াও একই সময়ে চট্টগ্রাম ষোলশহর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের লালবাগ ও কারমাইকেল কলেজ, বরিশাল, কুমিল্লা ও টাঙ্গাইল থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের সংবাদ পাওয়া গেছে।

এর আগে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে রোববারের আন্দোলনের ঘোষণা দেন নুরুল হক নুর। কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা ১১টায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে এবং বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময় ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ওই ঘোষণার আজ রোববার (১৩ মে) এক মাস পূর্ণ হলেও এখনও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান ‘কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে’ বলে জানালেও প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

ওই ঘটনার পর থেকে দেশটির অন্তত চার লাখ লোক শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা প্রজ্ঞাপন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ