পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিন ফিটনেস না থাকায় প্রায় ৫০ হাজার গাড়ির নিবন্ধন বাতিল হচ্ছে। ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ফিটনেস সনদ নবায়ন না করা গাড়িগুলোকে ‘রাইট অফ’ ঘোষণা করবে বিআরটিএ। এর আগে ওই সব গাড়ির মালিকদের একাধিকবার সনদ নবায়নের জন্য সময় দেয়া হয়। বিআরটিএ সূত্র জানায়, ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন না করা ৫৫ হাজার যানবাহনের তালিকা প্রকাশ করে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সনদ নবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা পেয়ে কিছু মালিক তাদের মালিকানাধীন গাড়ির সনদ নবায়ন করলেও এখনো প্রায় ৫০ হাজার যানবাহন ফিটনেস সনদ নবায়ন করেনি। এসব যানবাহন রাস্তায় যাতে চলতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বিআরটিএ। পাশাপাশি শিগগিরি সনদবিহীন গাড়ির তালিকা তৈরি করে সেগুলো ‘রাইট অফ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিআরটিএর হিসাবমতে, সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহন ৩৪ লাখ ১৯ হাজার। এর মধ্যে ২১ লাখ ৪৫ হাজার মোটরসাইকেল। এছাড়া ২ লাখ ৪৯ হাজার অটোরিকশা, ৩ লাখ ৩৫ হাজার প্রাইভেট কার, ৪৪ হাজার বাস, ২৭ হাজার মিনিবাসসহ অ্যাম্বুলেস, ট্রাক, কার্গো ভ্যান ও অন্যান্য ধরনের যানবাহন রয়েছে।
বিআরটিএর তালিকা অনুযায়ী, সারা দেশে দীর্ঘদিন ফিটনেস না থাকা গাড়ির সংখ্যা ৫৫ হাজার। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪০টি গাড়ি বিভিন্ন সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের। ফিটনেস সনদবিহীন সরকারি যানবাহন সবচেয়ে বেশি পুলিশের। এ বাহিনীর প্রায় ১১০০ যানবাহনের ফিটনেস সনদ নবায়ন হয়নি ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে।
দীর্ঘদিন ধরে ফিটনেস সনদ না থাকা গাড়িগুলো রাস্তায় চলছে কিনা, তার কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান বিআরটিএ’র কাছে নেই। বিআরটিএ’র একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ধারণা এর মধ্যে কিছু গাড়ি হয়তো ব্যবহার হচ্ছে না। তবে বেশিরভাগই কোনো না কোনো উপায়ে চলছে। রাজপথে সেগুলো যানজটের সৃষ্টি করছে। পথিমধ্যে বিকল হয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
রাজধানীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের চেহারা দেখলে সহজেই বোঝা যায়, অনেক বাসেরই ফিটনেস সনদ নেই। লক্কর-ঝক্কর মার্কা বাসগুলো কিভাবে ফিটনেস সনদ ছাড়া রাজধানীতে চলাচল করছে সে প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই লক্কর-ঝক্কর মার্কা গাড়িগুলোকে ফিটনেস সনদ দেয়া হয়। দেখতে ভাঙ্গাচোরা, জানালা নেই এমনকি ছাদও ফুটো এমন বাসও চলাচল করছে ফিটনেস সনদ নিয়ে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধন পরিবহনের অনেক বাসের হেডলাইটও জ্বলে না। রাতের অন্ধকারে গাড়িগুলো ভূতের মতো চলাচল করে। সায়েদাবাদ-গাবতলী ৭নং (পুরাতন) রুটের অধিকাংশ বাসের বেহাল দশা দেখলেই বোঝা যায় এগুলো চলাচলের যোগ্যতা হারিয়েছে বহু আগেই। বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, এখন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফিটনেস যাচাই করা হয়। এজন্য পুরাতন গাড়ির ফিটনেস সনদ নেয়া সম্ভব নয়। তারপরেও কিছু গাড়ি যে চলছে না তা বলা যাবে না। ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে সেগুলো। বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। এতে করে রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-তে বলা আছে, একবার ফিটনেস সনদ নিলে তা নবায়নের তারিখ থেকে পরের এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফিটনেস সনদ পেতে হলে বিআরটিএ কার্যালয়ে গাড়ি হাজির করা বাধ্যতামূলক। সেখানে ফিটনেস নিরূপণে অন্তত ৩০ ধরনের কারিগরি ও বাহ্যিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। অথচ এখনও দেখা যায়, গাড়ি বিআরটিএ-তে হাজির না করে দালালচক্রকে ঘুষ দিয়ে সহজেই ফিটনেস সনদ নেয়া যায়। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, মিরপুর বিআরটিএ অফিসে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকার সমর্থিত দলের একাধিক সিন্ডিকেট দালালির সাথে জড়িত। ফিটনেসসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে গেলেও এরা জোঁকের মতো লেগে থাকে। টাকা দিলে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে ঝামেলা বাড়তেই থাকে।
এদিকে, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। একটি গবেষণার তথ্য মতে, দেশে ২০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যানজটের ভোগান্তি ও দুর্ঘটনা এড়াতে রাজপথ থেকে দ্রুতই এসব যানবাহন তুলে নেয়া উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।