মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ৩৪ বছরে বিশ্বে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত চারগুণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি ১১ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের একজন এই রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব এখন ডায়াবেটিসের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঝুঁঁকিতে। ২০১৪ সালে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি, যা ১৯৮০-তে আক্রান্তের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রাক্কালে প্রকাশিত সংস্থাটির প্রথম গ্লোবাল রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতি বছর রক্তে উচ্চমাত্রার গ্লুকোজ বা ডায়াবেটিসের কারণে বিশ্বে মারা যাচ্ছে ৩৭ লক্ষ মানুষ। ২০১২ সালে ১৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে ডায়াবেটিসের কারণে মারা যান। রক্তে চিনির উচ্চমাত্রাই এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর প্রধান কারণÑ এ কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতি বছর এ কারণে অন্তত ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়া না হলে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্বসংস্থার কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনে টাইপ-১ এবং টাইপ-২ উভয় ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে। দরিদ্র জীবনযাপনের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে জানানো হয়, এ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চেয়ে বেশ কম। ১৯৮০ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ কোটি ৪০ লাখ বেড়ে গেছে। বলা হয়েছে, সাড়ে ৮ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষই এ রোগের শিকার। ২০১২ সালে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে ডায়াবেটিসের কারণে। রক্তে চিনির উচ্চমাত্রার কারণে আরও অন্তত ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে প্রাণ হারানো ৩৭ লাখের ৪৩ শতাংশই ৭০ বছরের আগে মারা গেছেন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ কার্যক্রমের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. এটাইনে ক্রুগ বলেন, ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। তবে তা লাগামহীন হারে বাড়ছে। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে স্বাস্থ্যের জন্য তা ভয়াবহ ঝুঁঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁঁকি বাড়ে, হাত-পা বাদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, কিডনির সমস্যা, অন্ধত্ব এবং গর্ভাবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ডায়াবেটিস বিশ্বের অষ্টম সবচেয়ে বড় ঘাতক ব্যাধি।
এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে আরো জানায়, ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮০ লাখ। ২০১৪ সাল শেষে এ সংখ্যা ৪২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮০ সালের দিকে ধনী দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের সর্বোচ্চ হার দেখা গিয়েছিল। তবে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই ডায়াবেটিস আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। ১৯৮০ সালে (৫.৯%) তুলনায় ২০১৪ সালে (১৩.৭) মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার ৭.৮% বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত কেউ রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে তার স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় দেখা দেয়। ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁঁকি তিনগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া পা বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁঁকি বেড়ে যায় ২০ গুণ। স্ট্রোক, কিডনি নষ্ট হওয়া, অন্ধত্ব বরণ, গর্ভাধারণে জটিলতা বাড়ারও আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।