মালয়েশিয়ার সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিকাল ৫টায় শপথ নেবেন বলে আশা করছেন দেশটির চতুর্দশ নির্বাচনে বিজয়ী জোটের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. তুন মাহাথির মোহাম্মদ।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি শপথ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় দেশের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নিতে যাচ্ছেন।
ছয় দশক ধরে দেশটিকে শাসন করা দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত জোট বারিসান ন্যাশনালকে বিস্ময়করভাবে হারিয়েও মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু তিনি সেই সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সংবিধানের কিছু অংশ নিয়ে বিভ্রান্তির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতা হস্তান্তরে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি এখন খুবই পরিষ্কার। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
ব্যাপক রাজনৈতিক গোলমালের মধ্যে বারিসান ন্যাশনাল(বিএন) ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত এই জোটই মালয়েশিয়াকে শাসন করেছে। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশটি শাসন করে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়েছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। এ সময় তিনি মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব দিয়ে যান শিষ্য নাজিবের হাতে।
সেই সাবেক শিষ্য দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে তার পতন ঘটাতে অবসর ভেঙে ৯২ বছর বয়সে রাজনীতির মাঠে ফেরেন মাহাথির। আর ফিরেই মাহাথির বুঝিয়ে দিয়েছেন মালয় জনগণের কাছে এখনও তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা।
শপথ নেয়ার পর তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সরকারপ্রধান। অভিষেকের জন্য রাজার পক্ষ থেকে মাহাথির মোহাম্মদ আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ব্যাপক সংশয় দেখা দিয়েছিল।
এর আগে দ্রুততম সময়ে মালয়েশিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠনের সুযোগ দাবি করেন ড. তুন মাহাথির মোহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, আইন অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার গঠনের অধিকার তার জোট পাকাতান হারাপানের।
তখন মাহাথির বলেন, আজই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চান তিনি। আর এ জন্য পার্লামেন্টে ২২২ আসনের মধ্যে ১১২ আসনে বিজয়ী হওয়ার প্রয়োজন থাকলেও তার জোটের ১৩৫ আসনের সমর্থন রয়েছে।