Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোট ডাকাতি হলে জনগণ প্রতিহত করবে -ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৮, ২:৩৯ পিএম | আপডেট : ৮:৩১ পিএম, ১০ মে, ২০১৮

আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হলে তা প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সরকারের উদ্দেশে বলেন, কোনো রকমের ছলচাতুরি করে ওই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই বলে নির্বাচন কমিশনের গিয়ে আগে-ভাগে আপনারা যে নাটক করছেন। শুধু একটাই উদ্দেশ্যে- ভোটের দিন ভোট ডাকাতি করতে চান। এটা দেশের মানুষ জানে, খুলনার জনগণ জানে। আমরা বলতে চাই, খুলনার জনগণ প্রস্তুত আছে- যেকোনো ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করা হলে খুলনার জনগণ সেটা প্রতিহত করবে ইনশাল্লাহ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে এক সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, খুলনায় গাজীপুরের মতোই ঠিক একইভাবে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার। সেই গণজোয়ারকে আজকে তারা ভয়ে ভীতি হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এইচটি ইমাম একটি প্রতিনিধি নিয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশনে বলেছেন যে, খুলনায় নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। এই ধরনের কথা শুনে আসলে কী মন্তব্য করবো- একটা শিশুও হাসবে। যেখানে সরকার, আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, তারা সকলে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে নেমেছে। গতকাল এক রাতে আমাদের দেড়শ’ নেতা-কর্মী নির্বাচনে ভুমিকা রাখছেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের প্রার্থী বলেছেন, পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। আর সেই পক্ষ এসে ইসিতে বলেছে, সেখানে নাকী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। কেনো এটা বলেছেন, এজন্য যে গাজীপুরের মতো খুলনায়ও গণজোয়ার ঠেকতে পারছেন না। সেজন্য ভোটের দিন অথবা ভোটের আগের রাতে ভোট চুরির পরিকল্পনা ক্ষমতাসীনদের রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে উদ্যোগে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনিডিপিরর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে একাদশ নির্বাচন হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখবেন আর দেশে একাদশ নির্বাচন হয়ে যাবে- এটা জনগন হতে দেবে না। এখানেও অনেকে উপলব্ধি করেন, এমনিতে হবে না। গণজাগরণের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্তি, গণতন্ত্রকে মুক্তি ও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। আমরা বলতে চাই, গণজাগরণ সৃষ্টি করা হবে। সময় আসছে কোটা আন্দোলনের মতোই একই ধরনের গণজাগরণ ও গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। সকলে প্রস্তুতি নিন।

তিনি বলেন, একাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমাদের দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করতে হবে এবং জনগণের যে ভোটের প্রতি অনাস্থা ও তাদের যে ভয়ভীতি রয়েছে তা উত্তরণ ঘটাতে সেনা বাহিনীকে মোতায়েন করতে হবে। আপনারা যতই বলেন যে আলোচনা করবেন না, সমঝোতা করবেন না। আপনারা নিজে থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। আজকে জনগণের দাবি, আমাদের বন্ধু প্রতিম সকল দেশের দাবি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আর নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হলে অবশ্যই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আগামীতে হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ওইরকম নির্বাচন হবে না। জনরোষের বন্যায় আপনারা ভেসে যাবেন। এখনো সরকারকে বলছি, সময় এখনো আছে। যদি আপনাদের গোয়ার্তুমির কারণে ক্ষমতায় থাকার সেই লোভে অলিখিত বাকশাল কায়েম করার স্বপ্ন নিয়ে আপনারা যদি অগ্রসর হন এবার আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না। জনগণ যখন প্রতিরোধের সেই শপথ নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াবে তখন যদি দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মোশাররফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ