Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধে ৩০ দিন টিকে থাকার মতো অস্ত্রের সংস্থান দরকার

ভারতের ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটি (ডিপিসি)র প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বিদেশ থেকে উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম কেনার বদলে যুদ্ধে ৩০ দিন টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদের সংস্থান নিশ্চিত করা ভারতের সামরিক অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। দেশটির ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটি (ডিপিসি) তার প্রথম বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে। কমিটির বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে অবগত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নেতৃত্বে ডিপিসিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সাউথ বøকের কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর এই মুহূর্তে মাত্র ১০ দিনের যুদ্ধে টিকে থাকার মতো গোলাবারুদ রয়েছে, অথচ তারা উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম কেনা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। ডিপিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নতুন করে অত্যাধুনিক কোন প্ল্যাটফর্ম কেনার আগে ভারতে যৌথ ব্যবস্থাপনায় গোলাবারুদ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে হবে। ডিপিসি মনে করছে, গোলাবারুদ কেনার বিষয়টি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত যেখানে ২৫ শতাংশ গোলাবারুদ প্রশিক্ষণে ব্যয় হয়। সশস্ত্র বাহিনী মূলত রাজস্ব বাজেট থেকে গোলাবারুদ কিনে থাকে এবং অত্যাধুনিক উচ্চ মূল্যের সরঞ্জামাদি কেনার দিকেই তাদের মনোযোগ বেশিÑ এ বিষয়টি সদ্য গঠিত ডিপিসি’র নজরে আনার পর কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেন। ডিপিসি বলেছে, সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গোলাবারুদের সংস্থান বাড়ানোর দিকে নজর দেয়াটা এই মুহূর্তে সময়ের দাবি। ২০১৬ সালে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর আগে, জরুরিভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে গোলাবারুদ, লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমা এবং মিসাইল কিনেছিল ভারত। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে হামলার পর সেনা মোতায়েনের সময় এবং ২০০২ সালের মে মাসে কালুচাক হত্যাযজ্ঞের সময়েও একই ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অপারেশনাল নির্দেশনা এবং চিফস অব স্টাফ কমিটির সুপারিশে ডিপিসি গঠিত হয়েছে। কমিটির বৈঠকে চীন ও পাকিস্তানের সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, লার্সন অ্যান্ড টুবরো এবং কালিয়ানি গ্রæপের মতো প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সহায়তা নিতে হবে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

Show all comments
  • তমা ১০ মে, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 0
    সময় ঘনিয়ে আসতেছে
    Total Reply(0) Reply
  • md taher chowdhury ১০ মে, ২০১৮, ৮:৪০ এএম says : 0
    how much weapons india need to down the right/freedom of minorities?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ