মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের অশান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে হয়তো শান্তি আসন্ন, যেখানে বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপ পঞ্চাশের দশক থেকে সক্রিয় রয়েছে। ভারতীয় ওয়েবসাইট সাউথ এশিয়ান টেররিজম পোর্টালে ৭ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে যে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে, তার আগেই সরকারের সাথে চুক্তি করবে সাতটি নাগা জঙ্গি গ্রুপ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল আসামে ইউনাইটেড লিবারেশান ফ্রন্ট অব অসোমও (উলফা) একই ধরনের চুক্তি করতে পারে। ৬ মে ফার্স্ট পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সমস্যা হলো, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে জঙ্গি গ্রুপগুলো এখনও সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ঘাঁটি সীমান্তের ওপারে, উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারে। তারা কোন শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না এবং এ ব্যাপারে কোন আগ্রহও দেখায়নি তারা। নাগা গ্রুপগুলো সরকারের সাথে বেশ অনেক বছর ধরেই অস্ত্রবিরতির চুক্তি মেনে চলছে। যে উলফা নেতারা কর্তৃপক্ষের সাথে দর কষাকষি করছে। স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেফতার অভিযান চালানোর পর, তারা সরকারের সাথে আলোচনায় সম্মত হয়। মিয়ানমারে যে সব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, তাদের সংখ্যা শতাধিক। তারা সুসজ্জিত এবং একতাবদ্ধও। তাদের জোটের নাম ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশান ফ্রন্ট অব ওয়েস্টার্ন সাউথ ইস্ট এশিয়া। এই অঞ্চলটাকে তারা জাতিগত জনগোষ্ঠীর এলাকা মনে করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের সাথে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নিজেদেরকে তারা উপমহাদেশের অংশ মনে করে না। এই ফ্রন্টের মধ্যে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড এবং মনিপুর এবং মিয়ানমারের নাগা হিলসের লোকজন রয়েছে। তাদের সদর দপ্তরের অবস্থান মিয়ানমারের কামতি এলাকার উত্তে টাগাতে। সেখানে মিয়ানমারের সামরিক আউটপোস্টের সাথে তাদের এক ধরনের বোঝাপড়া রয়েছে বলে মনে হয়। তাদের নেতা ও কর্মীদের অনেকে অধিকাংশ সময় কাটায় চীনের পশ্চিম ইউনানের রুইলি এলাকায়। সেখান থেকে তারা রসদও পেয়ে থাকে যেগুলোর মধ্যে সম্ভবত অস্ত্রও রয়েছে। মিয়ানমার তাদের নিজেদের জঙ্গি গ্রুপগুলোর মোকাবেলাতেই এতটা ব্যস্ত যে ভারতের জঙ্গি গ্রুপগুলোর দিকে নজর দেয়ার সময় তাদের নেই। অন্যদিকে, চীন এই জঙ্গিদের উপকারী মনে করে এবং তাদের গোয়েন্দাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করে। তাই যদিও চুক্তি হয়েছে, চুক্তি নিয়ে উদযাপনও হয়েছে, কিন্তু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সঙ্ঘাতের অবসান হতে দেখিনি আমরা। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।