পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর প্রগতি সরণীর বাড্ডা এলাকায় চলছে ইউলুপ নির্মাণের কাজ। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের আগে ইউলুপ চালু করা সম্ভব হবে না। নির্মাণাধীন এই ইউলুপের কারনে ব্যস্ত প্রগতি সরণীর দুই লেনের পরিবর্তে এক লেনে চলছে যানবাহন। এতে করে রামপুরা থেকে কুড়িল যাওয়া-আসার পথে তীব্র যানজটে আটকে থাকছে শত শত গাড়ি। দিনে রাতে ওই সড়কে গণপরিবহন, প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারি। অনেকেই গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে যানজটে স্থবির বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাধীণ ইউলুপটির মাঝখানের অংশে কাজ করছেন শ্রমিরা। মাঝখানের অংশে ঢালাই শুরুর আগে রডের ওপর লোহার পাত বসাতে ঝালাই করছে নির্মাণ শ্রমিকরা। এজন্য কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উন্মুক্তভাবে কাজ করার কারনে ঝালাইয়ের স্ফুলিঙ্গ নিচে গাড়ি বা পথচারীদের উপর পড়ছে। শ্রমিকরা জানায়, লোহার রড দিয়ে খাঁচি তৈরির জন্য ঝালাইয়ের কাজ চলছে। এরপর শুরু হবে ঢালাইয়ের কাজ। দুই মাস আগে ঢালাইয়ের জন্য লোহার রড বসানোর কাজ চলছিল। দুই মাসে সে কাজের খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। সে সময় কর্তব্যরত একজন প্রকৌশলী জানিয়েছিলেন, জুনের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে। হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (রাজউক) জামাল আক্তার ভূঁইয়া বলেন, ইউলুপ নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করা যায় আগামী জুলাই-আগস্টের দিকে-এর কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হতে বেশি সময় লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউলুপের মূল সড়কের ভূগর্ভস্থ অংশে ডেসকো, বিটিসিএল, তিতাস, ওয়াসাসহ বেশকিছু পরিসেবা সংস্থার তারের ও অন্যান্য সংযোগ ছিল। সেগুলো সরিয়ে প্রতিস্থাপন করতে বেশ সময় লেগেছে।
ভুক্তভোগিদের মতে, বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে প্রতিদিনের সৃষ্টি হওয়া যানজটে এ পথে চলাচলকারীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি। নির্মাণকাজের জন্য দুই লেনের গাড়িগুলোকে সরুপথে চলাচল করতে হচ্ছে। আবার উন্মুক্তভাবে ঝালাইয়ের কাজ করায় ঝালাইয়ের স্ফুলিঙ্গ পড়ছে নিচে-কখনও গাড়ির উপর, কখনও পথচারী যাত্রীদের উপর। এতে করে যেকোনো গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়াসহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউলুপ নির্মাণকাজে কর্মরত মোহসীন নামে এক শ্রমিক বলেন, শুরু থেকেই আমরা এখানে কাজ করছি। কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। বর্তমানে লোহার রড বসানোর কাজ চলছে। প্রতিদিন মধ্য বাড্ডার বাসা থেকে মতিঝিলে অফিস করেন ব্যাংকার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, একটা ইউলুপ বানাতে বছরের পর বছর সময় কেনো লাগবে বুঝলাম না। নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই এই রাস্তায় তীব্র যানজট রেগেই আছে। এ যানজটের কারনে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। ওই যাত্রী বলেন, শুধুমাত্র নির্মাণাধীন এই ইউলুপের কারনে যাতায়াতে সাধারণ সময়ের চেয়ে কমপক্ষে আধাঘণ্টা বা কখনও কখনও এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটার কাজ শেষ কবে হবে? এই ভোগান্তির শেষ কবে?
এদিকে, নির্মাণাধীন ইউলুপের কারনে সৃষ্ট যানজট এড়াতে অনেক যাত্রী বহুদিন ধরেই মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট থেকে রামপুরা পর্যন্ত যেতে ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করছেন। গুদারাঘাটের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা একজন কাউন্টার মাস্টার জানান, যানজটের কারনে অনেকেই এখন মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাট থেকে রামপুরা ঘাট পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াত করে। দিন দিন ওয়াটার ট্যাক্সির এই রুটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ কাজের দীর্ঘদিন ধরে চলায় এই এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দাভাব লেগেই আছে। মেরুল বাড্ড এলাকার একজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নির্মাণ কাজ চলায় আমাদের ব্যবসা অনেক খারাপ যাচ্ছে। তীব্র যানজট, নির্মাণ কাজের কারণে খানাখন্দ, সরু রাস্তার যানজটের জন্য কাস্টমার এদিকে আসে না। কবে যে কাজ শেষ হবে- আমরা সে আশায় আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।