বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। সেই স্বপ্ন পূরণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত ও টেকসই রাখতে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন। সোমবার দুপুরে প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়
বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে এ প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি মন্তব্য বইতে আরো লেখেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র স্মৃতির প্রতি আমি গভির শ্রদ্ধা জানাই। আমি পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বঙ্গবন্ধু, তাঁর সহধর্মীনি, পুত্রগণ ও পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়দের। যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদৎ বরণ করেন। আমি বিন¤্র চিত্তে স্মরণ করি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। আরো স্মরণ করি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় শহীদ জতীয় চার নেতাসহ মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদেরকে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
এর আগে প্রেসিডেন্ট দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছে সমাধিসৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শতাব্দীর মহানায়ক হাজার বছরের সবার সেরা বাঙ্গলী
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। বেজে ওঠে বিউগল।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে প্রেসিডেন্ট পবিত্র সুরা ফাতেহাপাঠ ও
বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় তিন বাহিনীর প্রধান, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধূরী এমদাদুল হক,
সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাজী হারুন-অর-রশীদ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আঃ হালিম, সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন করিব, উপজেলা চেয়ারম্যা মজিবুর রহমান হাওলাদার, পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেনসহ পদস্থ সমরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংঙ্গঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ১টা ৫৩ মিনিটে প্রথম টুঙ্গিপাড়ায়
বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পৌঁছালে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।