মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঢোলপুর জেলায় অবস্থিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত একটি গ্রাম রাজঘাট। এটি ঢোলপুর জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাম্বাল নদীর তীরে অবস্থিত ক্ষুদ্র এই গ্রামটিতে মাত্র ৩৫০ জনের বসবাস। গ্রামটিতে কোনো রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ নেই, পানির পাইপলাইন পর্যন্ত নেই। ন্যূনতম মেডিকেল সুবিধাও পান না গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল থাকলেও তাতে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। সূর্যাস্তের পরপরই গ্রামটি অন্ধকারে ঢেকে যায়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত গ্রামটিতে গত ২২ বছরে কোনো ছেলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেননি। গ্রামের বেহাল দশার কারণে গত দুই দশকে বিয়ের কোনো প্রস্তাবই পাননি তারা। অবশেষে দীর্ঘ ২২ বছর বিরতির পর চলতি সপ্তাহে এই গ্রামটিতে এই প্রথম কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটল। একজন মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা এ সুযোগ করে দিল। রাজঘাটের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী পাবন কুমার চলতি সপ্তাহের শুরুতে মধ্যপ্রদেশের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আর এ বিয়েই দারিদ্র্য-পীড়িত গ্রামবাসীদের একত্রিত হবার সুযোগ করে দিল। ২২ বছরের মধ্যে এই প্রথম এই গ্রামটিতে বিয়ের সানাই বাজল। গ্রামটিতে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লীতে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর মেমোরিয়াল ‘রাজঘাট’ এর নামে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে। শহর থেকে গ্রামটি অনেক দূরে অবস্থিত হওয়ায় সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামটি। অশ্বানী পারাশাড় নামে একজন এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র ও তার কয়েকজন সহপাঠী রাজঘাট গ্রামটিতে পরিবর্তন আনার জন্য চেষ্টা করছেন। তারা গত তিন বছর নিজেদের উদ্যোগে ও দাতাদের অর্থায়নে গ্রামটিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। গ্রামটিতে চলাচলের জন্য রাস্তা ও পয়ঃনিস্কাশনের জন্য কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ, সৌরচুল্লি স্থাপন, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অশ্বানী পারাশার রাজঘাট গ্রামের গত কয়েক বছরের দুর্দশা উল্লেখ করে রাজস্থান হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি ‘রাজঘাট রক্ষা কর’ হ্যাশট্যাগ সম্বলিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। পাবনের পিতা দর্শন লাল এ বিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, গ্রামের কিঞ্চিত উন্নয়ন ও বৈবাহিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে পরিবর্তন আনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এছাড়া আমি আমার ছেলেকে বিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্রামের মানুষ এতে অনেক উৎফুল্ল এবং তারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। পাবন ছাড়াও গ্রামটিতে এখনও তিন ডজন বিবাহ উপযুক্ত ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাবের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।