মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যত দিন তাদের জন্য তৈরি ‘আদর্শ গ্রামে’ থাকবে, তত দিন তারা নিরাপদ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং। সেনাপ্রধানের বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ফিরে যাওয়ার পর স্থায়ী বসত নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আজ শনিবার এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩০ এপ্রিল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটিতে সফররত জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সেখানকার ক্ষমতাশালী সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং এসব কথা বলেন।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘রোহিঙ্গা’ বলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।
এএফপি জানায়, এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন বলছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার গত বছরেই রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে রাজি হয়। তবে নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার মতো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা না পেলে মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হচ্ছে না রোহিঙ্গারা।
শনিবার মিন অং হলাইং ফেসবুক পেজ থাকা জানা যায়, সফররত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট করা এলাকার মধ্যে থাকলেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।’
মিন অং হলাইং রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে মন্তব্য করে বলেছেন। রাখাইনে দীর্ঘদিন বাস করলেও তারা কখনো মিয়ানমারের জাতিসত্তা ছিল না—এটাই তাঁর বক্তব্যের প্রতিফলন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক হত্যা, আগুনে পোড়ানো ও ধর্ষণের যে মর্মস্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন, এসব অভিযোগে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। তিনি এসব বর্ণনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলেছেন।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘বাঙালিরা কখনোই বলবে না যে সেখানে খুশিমনে গেছে। তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে বা তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে—এমন কথা বলে তারা সহানুভূতি আদায় করবে।
জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার যতই কম করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুতির কথা বলুক, এখনো তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
মিয়ানমার সেখানে যে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরি করছে, তাতে এক লাখের মতো মানুষের জায়গা হবে। এ ছাড়া খুব কমসংখ্যক নতুন বাড়ি তৈরি করেছে, যেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে রোহিঙ্গারা। তাদের সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব নাজুক বলেই বর্ণনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।