Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাজীগঞ্জে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ইরি-বোরো নিয়ে বিপাকে কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর)উপজেলাসংবাদদাতা : চাঁদপুরসহ হাজীগঞ্জে চলিত বছর ইরি-বোর বাম্পার ফলনে প্রাকৃতিক হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষককুল। ঠিক যখন কৃষক ধান কেটে ধান শুকাবে আর খড় (গো-খাদ্য) সংগ্রহ করবে তখন সময় ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় কৃষকের মাথায় বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো অবস্থা তৈরী হয়েছে। ধান সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ধানের মধ্যে যত পানি কম লাগানো যায় ততই ভালো। যে ধানে এখনো চাউলে পুষ্ট হয়নি সেই সকল ধানকে যথা সম্ভব আরো ২/১ জমিতে রাখার পর্ইে কাটার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে সেই সাথে পানিতে ডুবে ধানগুলোকে যথাযথভাবে সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়।
জানা যায়, চলিত মৌসুমে শুধু হাজীগঞ্জেই ইরি বোর উৎপাদনে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে ৯ হাজার ৯শ ৪৫ হেক্টর। তবে লক্ষমাত্রার ছেয়ে বেশী ধান উৎপাদনের সম্ভবনা থাকলেও প্রকৃতির রুঢ আচরনে তাতে ধ্বস নামার সম্ভবনা লক্ষ করা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। চলিত মৌসুমের বৈশাখী ঝড়ের এই সময়টাতে অনবরত বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে হচ্ছে। এই ঝড়ো হাওয়ার কারনে পাকা ধান গাছ থেকে ঝড়ে পড়ে আর বৃষ্টির কারনে ধানের জমিতে পানি জমে যাচ্ছে আর এ চিত্র জেলার সর্বত্র।
সরজমিনে বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, পাকা কিংবা আধা পাকা ধান নিয়ে কৃষক একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠিক কি করবে না করবে কিছুই ভেবে উঠতে পারছে না কৃষককুল। যে যার মতো করে ধান কেটে উচু স্থানে তা স্তুপাকৃতিভাবে জমিয়ে রাখছে। ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানিতে ধানের মাঠে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবে পাকা ধানগুলো কেটে পানি রাখলে ক্ষতি হবে এমন কারনে ধান কেটে টেবিল পেতে টেবিলের উপর রাথা হচ্ছে। যে সকল জমিতে সেচ দিয়ে পানি কমানো সম্ভব সেসকল জমির পানি সেচ দিয়ে কমিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। তবে যে সকল জমির ধান এখনো পুষ্ট হয়নি তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে চাষিরা।
সরজমিনে আরো দেখা যায়, যে ধান ইতিমধ্যে কৃষক কেটে শুকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে সে সকল কৃষকরা ধান আর ধানের খড় দিয়ে আছে মহাচিন্তায়। ধান আর খড় রোদে দেবার পর হঠাৎ করে নামছে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া আর এ কারনে ধান খড় দুটোয় নষ্ট হচ্ছে। বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ধান উৎপাদন নিয়ে বেজায় খুশি এই সকল কৃষকরা। প্রতিনিয়ত বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া মিলিয়ে প্রকৃতিক দুর্যোগের এই সময় ধান সংগ্রহ করা রীতিমতো দুরহ হয়ে পড়েছে। তবে তারা বাবা-দাদার কাছ থেকে শিখা নিয়মে কৃষক ধান সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে বাকী পুরো বিষয়টা নির্ভর করে ভাগ্যের উপর। যার ভাগ্য ভালো সে ধান আর ধানের খড় শুকিয়ে ঘরে নিতে পারে যার ভাগ্য খারাপ তার ধান খড় দুটোই নষ্ট হয়। তবে ঠিক এই সময়টাতে কৃষকরা বিভাবে ধান রক্ষা করবে এমন পরামর্শ কখনো পায়নি এই সকল কৃষকগন।
প্রাকৃতিক বিষয়কে সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দেয়া ছাড়া বিকল্প নেই তার পরেও কিছু নিয়ম কানুন মেনে ধান সংগ্রহ করলে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে ইনকিলাবকে জানান হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ