Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বসফরাস প্রণালি ও মারমারা সাগর তীরে বিভেদের সুর শোনা যাচ্ছে

ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলে তুরস্কে বিভেদের আগুন ছড়িয়ে দিতে চায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ৭:৫৬ পিএম

প্রেসিডেন্ট পদে আগাম নির্বাচন ঘিরে তুরস্কের রাজনীতিতে নানা মেরুকরণ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে তুর্কি ক্ষমতার মসনদ নিয়ন্ত্রণে নিতে নানামুখী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ঠেকাতে একাট্টা বিরোধী শক্তিগুলো। এক্ষেত্রে সেক্যুলার ও ইসলামী দলগুলো এক কাতারে আসছে। এতে বসফরাস প্রণালি ও মারমারা সাগর তীরে এক ধরনের বিভেদের সুর শোনা যাচ্ছে। আর কোনো কারণে তুরস্কের রাজনীতিতে বিভেদ চাঙ্গা হলে ফায়দা নিতে পারে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র। যার জন্য মুখিয়ে আছে তারা। জানা যাচ্ছে, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলে তুরস্কে বিভেদের আগুন ছড়াতে কাজ করছে। আর এমনটি বাস্তবে হলে তুরস্ককে অনেক বেশি মাসুল গুনতে হতে পারে যা অতীত ইতিহাসই বলে দেয়। এমনটিই বলছেন বিজ্ঞ বিশ্লেষকরা। সর্বশেষ জানা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পদে আলাদা ভাবে লড়লেও পার্লামেন্ট ইলেকশনে জোটগতভাবে লড়বে সিএইচপি, আইওয়াইআই-বিডবিøউকিউ পার্টি, সাদাত ও ডেমক্রেটিক পার্টি (ডিপি)। অর্থাৎ এই চারটি দল এখন চেষ্টা করতেছে এরদোগান প্রেসিডেন্ট হলেও যাতে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। আর তাতেই এরদোগানকে প্যাচে আটকানো যাবে। আর প্রেসিডেন্সি ভোট যদি ২য় রাউন্ডে চলে যায় তাহলে এই দলগুলো একক প্রার্থীকে সাপোর্ট দিবে এরদোগানকে হারানোর জন্য। সাদাত পার্টির এমন সিদ্ধান্তে ইসলামপন্থী সমর্থকদের মধ্যেও কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। সাদাত পার্টির প্রতি জোরালো সমর্থন সত্তে¡ও তাদের নির্বাচনী পলিসি এবং এরদোগান ঠেকাও নীতির জোটগত কৌসলকে অনেকে আত্মঘাতি মনে করছেন। তাদের যুক্তি- ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা কৌশলে ইসলামপন্থীদের সরাতে কূটকৌশল করছে। তবে অনেকে সাদাত পার্টির এমন নির্বাচনি কৌশলকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কেননা, বর্তমানে সাদাত পার্টি জনসমর্থনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দল। অনেকের মতে, ক্ষমতার হাতছানি সাদাত পার্টির দুয়ারে। কৌশল অবলম্বন করতে পারলেই সমূহ সম্ভাবনা সাদাত পার্টির। অন্যদিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন একে পার্টির অবস্থান একেবারে নড়বড়ে নয়। তবে বিরোধী শক্তিগুলো একজোট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। এরই মধ্যে তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পাটি (একেপি) আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে। বৃহস্পতিবার একে পার্টির সংসদীয় বৈঠকে এই মনোনয়ন দেয়া হয়। আগামী ২৪ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একে পার্টির সংসদীয় দলের ৩১৬ সদস্যের সবাই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এরদোগানকে সমর্থন করেন। একে পার্টি এবং ন্যাশনালিস্ট মোভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) কর্তৃক পৃথক ভোটে এরদোগানকে সমর্থন জানানো হবে। এরদোগানকে মনোনয়ন দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, ‘কিছু মানুষ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সন্ধান করতে পারে। কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রার্থী গণমানুষের মানুষ। তিনি নির্যাতিতদের রক্ষাকারী। এ কারণে আমরা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘২৪ জুন তুরস্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এদিন আমরা তুরস্কের বিরুদ্ধে সমস্ত নোংরা পরিকল্পনার ইতি ঘটাব। আমাদের এখনো অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে। আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অনেক বড় প্রকল্প রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এবং আমাদের ইতিহাস তুরস্কের জন্য আমাদের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আমরা সর্বদা নিপীড়িত এবং নির্যাতিতদের পক্ষ নিয়েছি।’ ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ