Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন হিলারী

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী ১৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের প্রাইমারির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট দলীয় দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন ও বার্নি স্যান্ডার্স। উইন্সটনে স্যান্ডার্সের কাছে হারের পর হিলারির এই রাজ্যে বিজয়টা জরুরি হয়ে পড়েছে। বুধবার মিসেস ক্লিনটন মেদগার এভার্স কলেজের জিমনেসিয়ামে ৪০ মিনিটের এক প্রচর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। দর্শক-শ্রোতার অধিকাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।
এখানে সাংবাদিকরা কয়েকজন নারীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হলে দেশে কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এর জবাবে ৩৩ বছর বয়স্কা টিফানি রেইড বলেন, হোয়াইট হাউজের জন্য মিসেস ক্লিনটন সঠিক পছন্দ। তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন, কাজেই তার অভিজ্ঞতা অনেক।
৪৫ বছর বয়স্ক আরেক সমর্থক বলেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত ওবামা প্রশাসনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। হাইনসু বলেন মিসেস ক্লিনটন দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন। ২৫ বছর বয়স্ক মেরি টমুনেন বলেন, আমি তার কট্টর সমর্থক। সে নির্বাচিত হোক, তাই চাই। তিনি বলেন, দৃষ্টিভঙ্গিতে এই পরিবর্তনটা আসা দরকার, কেউ যাতে আর এভাবে না বলে যে, কে পুরুষ আর কে নারী।
ফ্রান্সে জন্মগ্রহণকারী ইয়েল সেবাগ নামে ৩২ বছর বয়স্ক আরেক সমর্থক বলেন, সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সুযোগ, যেটি প্রেসিডেন্ট ওবামা করে দিয়েছেন, আমি মনে করি মিসেস ক্লিনটন নির্বাচিত হলে তা আরও উন্নয়ন ঘটাবেন।
তবে, সবাই একটি বিষয় সমানভাবে বলেছেন, তা হলো, মিসেস ক্লিনটন নির্বাচিত হলে নরীদের অনেক লাভ হবে। তিনি নারীদের জন্য অনেক কিছু করবেন।
এদিকে, সহিংসতা উসকে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করার জন্য হোয়াইট হাউজ বরাবর একটি আবেদনে করেছে। এতে প্রায় ১ লাখের বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী কোন আবেদনে ১ লাখ স্বাক্ষর পড়লে তাতে সরকারিভাবে বক্তব্য দেয়ার নিয়ম থাকলেও আবেদনটি বন্ধ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হয়নি সংশ্লিষ্টরা। আমরা জনগণ কর্তৃক গত ১৩ মার্চ দাখিল করা আবেদনে সংক্ষিপ্ত যুক্তি ছিল ট্রাম্প তার সমর্থকদের সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছেন। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ১৯৬৯ সালের এক রায়ে বলা হয়, সংবিধানে বাক স্বাধীনতা স্বীকৃত থাকলেও সহিংসতায় উসকানি কিংবা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আসন্ন হুমকি থাকলে তা বেআইনি। আবেদনে ১,০১,৪৯১ জন স্বাক্ষর করলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানির কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। হোয়াইট হাউজ বলছে, এ ধরনের অভিযোগ দাখিল আমরা জনগণের এখতিয়ার বহির্ভূত। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন হিলারী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ